যমজ ভাইদের সঙ্গে যমজ বোনদের বিয়ে
যমজ দুই ভাইয়ের সঙ্গে যমজ দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। ভাইয়েরা দেখতে একই ধরনের, দুই বোনও তেমনই। বিয়েতে পরেছিলেন একই রকমের শেরওয়ানি ও শাড়ি। বসেছিলেনও একসঙ্গে। অতিথিদের কাছে বুঝে ওঠা দায় কে কোন ভাইয়ের বউ। এমনই এক ব্যতিক্রমী পরিবেশে আজ শনিবার দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দরিনারিচা গ্রামে যমজ দুই ভাইয়ের সঙ্গে যমজ দুই বোনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ে দেখতে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে দিনভর স্থানীয় বাসিন্দারাও ভিড় করেন।
একসঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসা যমজ দুই ভাই হলেন নওগাঁর মহাদেবপুর গ্রামের সেকেন্দার মণ্ডলের ছেলে সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদ। তাঁরা দুজনই একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। অন্যদিকে যমজ দুই বোন হলেন দরিনারিচা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুস খানের মেয়ে সাদিয়া আক্তার ও নাদিয়া আক্তার। তাঁরা দুজন কলেজে পড়েন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বর–কনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে আলোচনার মাধ্যমেই এ বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয় কনের বাড়িতে। দুপুরে যমজ দুই ভাই বরবেশে কনের বাড়িতে এলে বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারেন। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ বিয়ে দেখতে কনের বাড়িতে ভিড় জমান। সব মিলিয়ে বাড়িটিতে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। দুই ভাইয়ের মধ্যে সেলিম মাহমুদের সঙ্গে সাদিয়ার ও সুলতান মাহমুদের সঙ্গে নাদিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিকেলে দুই ভাই স্ত্রীদের নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
দরিনারিচা গ্রামের বাসিন্দা এ এম রাজা প্রথম আলোকে বলেন, দুই ভাই ও দুই বোনের বিয়ের খবর তিনি আগেও শুনেছেন। কিন্তু যমজ দুই ভাই ও দুই বোনের বিয়ে এই প্রথম নিজে চোখে দেখলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই ভাই ও দুই বোন বেশ হাসিমুখে ছিলেন। এই বিয়েতে তাঁদের বেশ খুশি মনে হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনেদের বাবা মো. কুদ্দুস খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে খুব আদরের। ওরা জন্ম থেকেই একসঙ্গে বেড়ে উঠেছে। দুজনের পছন্দও একই রকমের। ফলে যমজ দুই ভাইয়ের সঙ্গে ওদের বিয়ে দিতে পেরে আমরা পারিবারিকভাবে বেশ আনন্দিত। মেয়েরা সুখী হোক, সবার কাছে এই দোয়া চাই।’