যশোরে জায়গা নেই, পাঠানো হচ্ছে নড়াইলে

ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আরও ১ হাজার ২০০ জনকে দেশে ফেরার বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত যশোরের বেনাপোল হয়ে ৭৫ জন দেশে ফিরেছেন।

এ নিয়ে গত ৫ দিনে ৭৭১ জন বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে দেশে ফিরলেন। তাঁদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলকভাবে আইসোলেশনে (সঙ্গনিরোধ) রাখা হয়েছে। যশোরের আইসোলেশন কেন্দ্রগুলো পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় ফেরত আসা অনেককে নড়াইলে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

যশোর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ অবস্থায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মানুষের যাতায়াতে নিরুৎসাহিত করতে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওই প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার শর্ত দেওয়া হয়। এরপর ২৬ এপ্রিল থেকে গত ৫ দিনে ৭৭১ জন নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আরও ১ হাজার ২০০ জনের ফেরার অনুমতি দিয়েছে দূতাবাস।

গত ৫ দিনে যাঁরা দেশে ফিরেছেন, তাঁদের মধ্যে করোনা ‘পজিটিভ’ ব্যক্তি আছে ১৫ জন। তাঁদের হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আজ ও গতকাল শনিবার দুজনের লাশ দেশে এসেছে।

ভারত থেকে ফেরা করোনা ‘নেগেটিভ’ ব্যক্তিদের বেনাপোল ও যশোর শহরের আবাসিক হোটেল এবং ঝিকরগাছার গাজীর দরগা মাদ্রাসায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। যশোরে এক হাজার ব্যক্তিকে রাখার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। যেভাবে ভারত থেকে মানুষ আসছেন, তাতে আজ সন্ধ্যার মধ্যে যশোরের সব আবাসন পূর্ণ হয়ে যাবে। এ কারণে আজ ১৫০ জনকে নড়াইলের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে যশোর জেলা প্রশাসন।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, দেশে ফেরার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আরও ১ হাজার ২০০ জনের বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ জন আজ ফিরেছেন। আজ নড়াইলের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ১৫০ জনকে সেখানে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।