‘যারা সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে’

কর্মশালায় ভালো পারফরম্যান্সের জন্য তিন মৎস্যবিজ্ঞানীকে বেস্ট প্রেজেন্টেশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে
ছবি: আনোয়ার হোসেন

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে যারা সাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করার স্বপ্নে বিভোর, তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতাযুদ্ধকে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করে স্বাধীনতাযুদ্ধকে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছে। নতুন করে যদি কেউ স্বপ্নে বিভোর হয় বাংলাদেশকে মুসলমানের দেশ বা হিন্দুর বাংলাদেশ অথবা সাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করার, তাহলে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) মিলনায়তনে একটি কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী রেজাউল করিম। ‘বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা প্রণয়ন ২০২১-২২’ শীর্ষক কর্মশালার এ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএফআরআই। এ সময় কর্মশালায় ভালো পারফরম্যান্সের জন্য তিন মৎস্যবিজ্ঞানীকে বেস্ট প্রেজেন্টেশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এখানে প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। এই সম-অধিকারের বাংলাদেশকে কেউ যদি বিভাজন করার অপচেষ্টা করে, তারা জাতির শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু, মানবতার শত্রু।

রেজাউল করিম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কিছু উগ্রতা লক্ষ করা গেছে। ধর্মীয় উগ্রতা যারা সৃষ্টি করে, তারা হচ্ছে মানবতার শত্রু। যারা সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে, তারা সভ্যতার শত্রু। তারা দৃশ্যমান মানুষ হলেও আসলে তারা অমানুষ।
বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। এ ছাড়া অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও বিএফআরআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক এম এ মজিদ বক্তব্য দেন।