হামলায় আহত যুবদল নেতাকে উল্টো গ্রেপ্তার

বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গফুর সরদার
ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের গৌরনদীতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যুবদলের নেতা মো. গফুর সরদারের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। পরে গফুর সরদারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। একই সঙ্গে গফুর সরদারকে বিস্ফোরণ মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

গফুর সরদার বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গৌরনদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আজ বুধবার গৌরনদী মডেল থানা-পুলিশ গফুর সরদারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। পুলিশ জানায়, গত ৩ ডিসেম্বর গৌরনদীতে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছিল। ওই মামলায় গফুর সরদারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গফুর সরদার অভিযোগ করে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে তিনি নিজ বাড়ি কসবা থেকে আগৈলঝাড়ায় যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাতুল শরীফের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা, লোহার রড ও জিআই পাইপ নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা মারধর করে তাঁর পা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে তিনি দাবি করেন।

গফুর সরদার আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পুলিশ সেখানে চিকিৎসা দিয়ে আমাকে আটক করে। আমার ওপর যারা হামলা করল, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাল।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে রাতুল শরীফ মুঠোফোনে বলেন, ‘হামলার সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না এবং ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।’

গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, গফুর সরদারকে বিস্ফোরক মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গফুর সরদারের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন