রপ্তানির চিংড়িতে কেমিক্যাল দিলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়: মন্ত্রী

শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন শ ম রেজাউল করিম
ছবি: প্রথম আলো

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, রপ্তানির সময় চিংড়িতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও আয়রন ঢুকিয়ে দিলে চলবে না। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। চিংড়ির ভেতরে কেমিক্যাল ও আয়রন ধরা পড়লে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে দেশের পুরো চিংড়ি খাতে ধস নামুক, সেটা কাম্য নয়। অতি মুনাফা লাভের মানসিকতাও পরিহার করতে হবে। তা না হলে চিংড়ি সেক্টরে ধস নামবে। বৈদেশিক মুদ্রার অর্জন বাড়াতে হলে গুণগত মানসম্পন্ন চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানির বিকল্প নেই।

গতকাল শুক্রবার রাতে চিংড়ির পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি মালিকদের সংগঠন শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে অনেক খাত যখন নুইয়ে পড়েছিল, তখনো চিংড়ি খাতের কিছু হয়নি। নানা সংকটের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সারা দেশে চিংড়ির পোনা সরবরাহ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চিংড়িতে সাফল্য এসেছে। ৯ হাজার কোটি টাকার চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছ বিক্রি হয়েছে। না হলে টিকে থাকা কঠিন হতো।

সেবের সভাপতি ও কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ আগে বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত। নানা কারণে রপ্তানি কমে যাওয়ায় আয় চার হাজার কোটিতে ঠেকেছে। তবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২-৩ বছরের মধ্যে চিংড়ির উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানি ১০ হাজার কোটিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। পোনা পরিবহনের কার্গো বিমানের সংখ্যাও কমে গেছে। আগে পাঁচ-ছয়টি কার্গো বিমান থাকলেও এখন তিনটি কার্গো বিমান আছে। কার্গো বিমানের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আশেক উল্লাহ মন্ত্রীর সহযোগিতা চান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ।