রাখালই চুরি করেছিলেন ১২টি মহিষ, জানাল পুলিশ

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার একটি আমবাগান থেকে পুলিশ চুরি যাওয়া ১২টি মহিষ উদ্ধার করে
ছবি. সংগৃহীত

চাকরি হারানোর পর রাখালই চুরি করেছিলেন মালিকের ১২টি মহিষ। চুরির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাশের উপজেলা থেকে পুলিশ চোরসহ মহিষগুলো উদ্ধার করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর বাঘা থানার পুলিশ পাশের পুঠিয়া থানার একটি আমবাগান থেকে মহিষগুলো উদ্ধার করেছে। মহিষের সঙ্গেই পাওয়া যায় রাখালকে।

আটক রাখালের নাম জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৮)। তাঁর বাবার নাম হাশেম খামারু। তাঁর বাড়ি বাঘা উপজেলার পলাশী ফতেপুর গ্রামে। আর মহিষের মালিকের নাম আশরাফ খামারু। বাড়ি একই গ্রামে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মহিষগুলোকে গাড়িতে ওঠাতে ঝামেলা হচ্ছিল। এ জন্য ঘটনাস্থল থেকে হাঁটিয়ে আনা হচ্ছে। এখনো এসে থানায় পৌঁছায়নি। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া মেনে মহিষগুলো মালিককে হস্তান্তর করা হবে। আর আসামি জাহাঙ্গীর হোসেনকে কাল বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর বাঘা থানার পুলিশ পাশের পুঠিয়া থানার একটি আমবাগান থেকে মহিষগুলো উদ্ধার করেছে। মহিষের সঙ্গেই পাওয়া যায় রাখালকে।

মালিক আশরাফ খামারু বলেন, কয়েক মাস আগে মহিষগুলো কিনে তিনি পদ্মার চরে খামার করেছেন। সেই খামারে মহিষের রাখাল হিসেবে নিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেনকে। কাজে ফাঁকি দেওয়ার কারণে তাঁকে বাদ দিয়েছেন। সেই রাখালই গতকাল সোমবার রাতে তাঁর খামার থেকে মহিষগুলো চুরি করে নিয়ে যান। ওই রাতেই চুরির বিষয়টি রাজশাহী পুলিশ সুপারকে মুঠোফোনে অবহিত করেন।

পুলিশ জানায়, পুলিশ সুপারের নির্দেশে তারা রাতেই অভিযান শুরু করে। তাদের সঙ্গে মালিকপক্ষের লোকজন খুঁজতে থাকেন। পুলিশের অভিযান দল জানতে পারে, পুঠিয়ার বাড়ইপাড়া গ্রামের একটি আমবাগানে মহিষগুলোকে চরানো হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুঠিয়া থানার সহযোগিতায় সেখানে অভিযান চালিয়ে মহিষগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সময় রাখাল জাহাঙ্গীর হোসেনকেও আটক করা হয়।