রাজশাহীতে ছাত্র পেটানোর মামলায় শিক্ষক কারাগারে

রাজশাহী জেলার মানচিত্র

রাজশাহীতে মাদ্রাসার ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগে শিক্ষক আবদুর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মো. আবুল মনসুর মিঞা এ আদেশ দেন।

আবদুর রহমান রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙ্গীপাড়ায় অবস্থিত আল জামিয়া আল সালাফিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও ইসলামি বক্তা আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের ছেলে। মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রামিম ইসলামকে পেটানোর অভিযোগে শিশুটির বাবা মেরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২১ মার্চ নগরের শাহ মখদুম থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মেরাজুল ইসলামের বাড়ি নগরের মালদা কলোনি এলাকায়। ঘটনার তিন মাস আগে তিনি তাঁর ছেলে রামিম ইসলামকে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। তার সহপাঠী হচ্ছে আবদুর রহমানের ভাইয়ের ছেলে তাওহীদ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহাদ হোসেন জানান, আসামি আবদুর রহমান উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তাঁকে জামিন না দিয়ে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অবশ্য সেই সঙ্গে এ ছয় সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে পুলিশি হয়রানি না করার নির্দেশনাও দিয়েছিলেন আদালত। আজ তিনি জামিনের জন্য রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীর টাকা হারানোর ঘটনা ঘটে। এ সময় আবদুর রহমানের ভাইয়ের ছেলে তাওহীদের কাছে মামলার বাদীর ছেলে রামিম ইসলাম অনেকগুলো টাকা দেখেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুর রহমান পাইপ দিয়ে শিশু রামিম ইসলামকে বেধড়ক পেটান। বেদম মারের কারণে কয়েকবার রামিম ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। বিষয়টি আবদুর রহমান রামিমের পরিবারকে জানাননি। এমনকি তার কোনো চিকিৎসাও করাননি। ঘটনার দুই দিন পর গত ১৮ মার্চ মেরাজুল ইসলাম মাদ্রাসায় তাঁর ছেলে রামিম ইসলামকে দেখতে যান। তখন তিনি ছেলের মুখ থেকে এসব কথা শোনেন। অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও তাঁর কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন। এ ঘটনায় রামিমের বাবা বাদী হয়ে আবদুর রহমানকে আসামি করে নগরের শাহ মখদুম থানায় মামলাটি করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহেদী প্রথম আলোকে বলেন, আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এখন তাঁরা মক্কেলের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সময়ে কবে আবার জামিনের জন্য আবেদন করা যায়, তা ঠিক করবেন।