চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বেলাল উদ্দিনকে প্রধান করে কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আবদুল হান্নানকে ও সদস্য করা হয়েছে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুল হককে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল বুধবার সকালে পারুল বেগম (৬৫) এক বৃদ্ধার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে ওই নারীর ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। পরে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা হয়। বিকেলে আদালত থেকে জামিন নিয়ে তিনি মায়ের দাফনের কাজে অংশ নেন।

হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনন কান্তি দাস প্রথম আলোকে গতকাল বলেছিলেন, রোগী মারা যাওয়ার পর তাঁর স্বজনেরা ওয়ার্ডের ভেতরে চিৎকার করছিলেন। তাঁরা কর্তব্যরত নার্সদের উদ্দেশে বাজে কথা বলছিলেন। এ সময় একজন চিকিৎসক তাঁদের বাইরে যেতে বলেন। তখন ওই রোগীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলেন। উপস্থিত দুজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ঠেকাতে যান। এ নিয়ে ওয়ার্ডের ভেতরে হুলুস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

তবে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের অভিযোগ, কোমরের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে হার্ট অ্যাটাকে মায়ের মৃত্যু হওয়ায় তাঁর ছেলে রাকিবুল ইসলাম নার্সদের বকাঝকা করেছিলেন। এই অপরাধে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাঁকে মারধর করেছেন। বাধা দিতে গেলে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা বাবাকেও মারধর করা হয়েছে।