রাজৈরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৮

মাদারীপুরের রাজৈরে দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপেক্ষ আটজন আহত হন। তাদের কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সোমবার সকালে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরের রাজৈরে দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে কদমবাড়ি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নসহ ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কদমবাড়ি ইউপিতে ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী দীনেশ বিশ্বাস গতকাল রাত আটটার দিকে কমদবাড়ি থেকে বড়খোলা এলাকায় একটি নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করতে যান। যাওয়ার পথে আড়ুয়াকান্দি এলাকায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিধান বিশ্বাসের কর্মী-সমর্থকেরা অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত আটজন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আড়ুয়াকান্দি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী দীনেশ বিশ্বাস বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিধান বিশ্বাস শুরু থেকে আমার নানা কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন। রাতের হামলা বিধানের পূর্বপরিকল্পিত। তিনি আমার ওপর হামলা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার সঙ্গে লোকজন থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। হামলায় আমার ছয়জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে কদমবাড়ি ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিধান বিশ্বাস বলেন, ‘দীনেশ বিশ্বাসের জনপ্রিয়তা নেই। তিনি নির্বাচনে হেরে যাবেন, তাই ভোটের আগে আমাকে নিয়ে ইচ্ছামতো অভিযোগ দিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ মনগড়া। রাতে আমার কোনো লোকজন দীনেশের ওপর হামলা চালায়নি। বরং তাঁরাই শোডাউন দিয়ে এসে এলাকাবাসীর সঙ্গে ঝামেলা করে।’

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সাদিক বলেন, ‘কদমবাড়ি ইউপিতে রাতে হামলার ঘটনা শুনেই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। হামলার বিষয় নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আমার কাছে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’