রাবিতে ‘অবৈধ’ নিয়োগপ্রাপ্তদের পদায়নের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো তালা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের মাধ্যমে ‘অবৈধভাবে’ নিয়োগপ্রাপ্তরা পদায়নের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসন ভবনে তালা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রশাসন ভবনে তাঁরা অবস্থান নিয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে তাঁরা তালা লাগিয়ে অবস্থান নেন। বেলা তিনটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলছিল।

এর আগে গতকাল শনিবার তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন, সিনেট ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনে তালা দেন। এতে গতকালের ফাইন্যান্স কমিটির সভা স্থগিত হয়ে যায়। গতকাল সারা দিনই ভবনগুলো তালাবদ্ধ ছিল। তবে করোনার কারণে গতকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগ ছাড়া সব দপ্তর বন্ধ ছিল। আজ থেকে আবার সীমিত পরিসরে সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত অফিস খোলা রাখার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে আজ সকাল নয়টার দিকে পদায়নপ্রত্যাশীরা প্রশাসন ভবনের তালা খুলে দিলেও বেলা ১১টার দিকে ফের তালা লাগান। এর কিছু সময় পর কোষাধ্যক্ষ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর দপ্তরে ঢোকেন। পরে পদায়নপ্রত্যাশীরা তাঁর দপ্তরে ঢুকে পদায়নের বিষয়ে কথা বলেন। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পদায়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গেই ছিলেন কোষাধ্যক্ষ। তবে এদিন প্রশাসন ভবনে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য বা রেজিস্ট্রারসহ অন্য কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রবেশ করেননি।

বেলা আড়াইটার দিকে পদায়নপ্রত্যাশী আতিকুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা গতকাল আমাদের বলেছিলেন, আজ সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনে আমাদের সঙ্গে পদায়নের ব্যাপারে কথা বলবেন। কিন্তু তিনি পরে আর আসেননি। ঊর্ধ্বতন অন্য কাউকেও আসতে দেননি। এখানে কেবল কোষাধ্যক্ষ আছেন। তিনি অসুস্থ মানুষ, একটু পরেই তাঁকে বাসায় পাঠিয়ে দেব।’ তিনি আরও বলেন, পদায়নের ব্যাপারে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা প্রশাসন ভবনেই থাকবেন। সব ভবন বন্ধ থাকবে, তাঁদের আন্দোলন চলবে।

অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে কোষাধ্যক্ষ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিয়োগপ্রাপ্তরা আমার সঙ্গে কথা বলেছে। ১১টার দিকে আমি অফিসে এসেছিলাম, এখনো এখানেই আছি। তাদের পদায়নের ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’

এ বিষয়ে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘আমি গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি, আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছি। এর বেশি আমি কী-ই বা করতে পারি? আমার চাওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র দ্রুত যেন কোনো ব্যবস্থা নেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফাইন্যান্স কমিটির সভা না হওয়ায় আগামী মঙ্গলবারের সিন্ডিকেট সভাও হবে না। সিন্ডিকেটে নিয়োগ বাতিলের ব্যাপারে নিয়োগপ্রাপ্তরা ভুল কথা বলেছে। রুটিন উপাচার্যের পক্ষে নিয়োগ বাতিলের ক্ষমতাই নেই, আর আমার সেই ইচ্ছাও নেই।’