রূপগঞ্জে মাটি খুঁড়তেই মিলল পাতিলভর্তি রৌপ্যমুদ্রা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাটি খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া রৌপ্যমুদ্রা। সোমবার সকালে উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বাড়ি বানানোর সময় মাটি খুঁড়তে গিয়ে শত বছরের পুরোনো ভারতীয় মুদ্রাভর্তি একটি পাতিল পাওয়া গেছে। পাতিলটিতে ১৯০৬ ও ১৯১৩ সালের ৯৮টি ভারতীয় মুদ্রা ছিল। আজ সোমবার সকালে উপজেলার তারাবো পৌরসভার গন্ধর্বপুর গ্রামের আজাদ মিয়ার বাড়ি থেকে মুদ্রাগুলো উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, পাতিলে পাওয়া মুদ্রাগুলো রৌপ্যমুদ্রা।

আজাদ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বাড়িতে ভবন নির্মাণের জন্য সকালে শ্রমিকেরা কাজ করছিলেন। তখন মাটি খুঁড়তে গিয়ে প্রায় দুই ফুট নিচে একটি পুরোনো মাটির পাতিল খুঁজে পান শ্রমিকেরা। ওই পাতিল ভেঙে ৯৮টি মুদ্রা পাওয়া যায়। বিষয়টি রূপগঞ্জ থানার পুলিশকে জানালে তারা এসে মুদ্রাগুলো তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।

রূপগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল করিম মিয়া বলেন, মুদ্রাগুলো ১৯০৬ ও ১৯১৩ সালের ভারতীয় মুদ্রা। সেখানে আর কোনো প্রাচীন বস্তু পাওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, মুদ্রাগুলোকে রৌপ্যমুদ্রা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, মুদ্রাগুলো হস্তান্তরের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হবে। তারা সেগুলো গ্রহণ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে।

এদিকে মুদ্রা উদ্ধারের খবর পেয়ে দূরদূরান্ত থেকে উৎসুক জনতা আজাদ মিয়ার বাড়িতে ভিড় করেন। সেখানা আসা এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারা জানান, যেখানে মুদ্রাগুলো পাওয়া গেছে, সেখানে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত একটি পুরোনো ঘর ছিল। ঘরটিতে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগপর্যন্ত মুড়াপাড়ার জমিদার জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জির নায়েব মবুল্লাহ প্রধান বসবাস করতেন। দেশভাগের পর বাড়িটি তোতা মিয়া মাতবরের বাড়ি হিসেবে পরিচিতি পায়।