রূপগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ৯ বছরের এক শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে নিখোঁজের পর আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার জাঙ্গীর এলাকায় আনন্দ পুলিশ হাউজিং থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মোশারফ মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মোশারফ হোসেন কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া এলাকার বাসিন্দা।

শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে মোশারফ শিশুটির বাড়িতে বেড়াতে আসে। শিশুটির মা মোশারফের জন্য নাশতা তৈরি করতে গেলে তিনি (মোশারফ) শিশুটিকে নিয়ে পাশের দোকানে চলে যায়। তারপর থেকে শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে গতকাল রাতে শিশুটির মা থানায় মোশারফের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেন।

শিশুটির মা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজের পর থেকেই মোশারফ ও তাঁর মেয়েকে খোঁজাখুঁজি চলছিল। এরই মধ্যে আজ দুপুরে রূপগঞ্জ ভক্তবাড়ী এলাকায় মোশারফকে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে মোশারফের দেখানো জায়গা থেকেই তাঁর মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। অপহরণ করে নিয়ে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন মোশারফ।

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, ‘মোশারফকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে গতকাল বিকেলে জাঙ্গীর এলাকার আনন্দ হাউজিংয়ের বালুর মাঠ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।’ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

এদিকে শিশুটির লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রূপগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।