রেলের তেল চুরি করায় দুজনের তিন বছরের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশন থেকে ট্রেনের তেল চুরির মামলায় দুই আসামির তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার বেলা দুইটার দিকে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল মাহমুদ এ দণ্ড দেন। রায়ে আসামিদের প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে ইমরান খান (৩০) এবং একই উপজেলার ইশোরপাড়া গ্রামের সোনামল্লিকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২০)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডবিধির ৪১১ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাতজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেদিন থেকে তাঁরা গ্রেপ্তার হবেন, সেই দিন থেকে তাঁদের সাজার কাল গণনা করা হবে।

ঘটনার দিনের প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীগামী কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়ানী স্টেশনে এসে পৌঁছায় রাত ৮টা ৪৩ মিনিটে। ছাড়ে রাত ১০টা ২০ মিনিটে। একই স্টেশনে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন থেমে থাকার কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। যাত্রীরা ট্রেন থেকে বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে থাকেন। তখন তাঁরা ট্রেনের ইঞ্জিনে বড় বড় তেলের জার দেখতে পান। এতে তাঁদের সন্দেহ হয়। কেন ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে অনুসন্ধানের ছলে ট্রেনের যাত্রী ও স্থানীয় লোকজন চালকের কাছে জানতে গিয়ে দেখেন ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে তেল নামানো হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে ট্রেনচালকের সঙ্গে যাত্রীদের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আরও স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। এ সময় ৭০ লিটার তেলভর্তি জারসহ দুজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। খবর দেওয়া হয় বাঘা থানায়। পরে পুলিশ এসে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। তেল চুরির দায়ে আটক দুজনকে মামলা দিয়ে পরদিন আদালেতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।