লালপুরে ‘ইমো হ্যাকার’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ৬

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

নাটোরের লালপুর উপজেলার মহারাজপুর বাজার থেকে সোমবার ইমো অ্যাপে দেওয়া নম্বর হ্যাক করে প্রতারণায় জড়িত সন্দেহে ছয় তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১৬টি মুঠোফোন ও ৪২টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

এদিকে গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজনের স্বজনেরা দাবি করেছেন, বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই দুজনকে।

নাটোর র‌্যাব ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, র‌্যাবের একটি দল সোমবার ভোরে মহারাজপুর বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় মুঠোফোনে ইমো অ্যাপ ব্যবহার করে ‘ইমো হ্যাকার’ দলের সদস্যদের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা আদায় করতে দেখেন র‌্যাব সদস্যরা। সেখান থেকে তাঁরা ওই ছয়জনকে আটক করেন।

প্রতারকদের নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে লালপুর থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হলেন নাজমুল মালিথা (২০), মেহেদী হাসান (১৯), আবুল কালাম আজাদ (২১), আশিক আহমেদ (১৯), সিরাজুল ইসলাম (৩০) ও ফজলুর রহমান (৩৬)। তাঁদের সবার বাড়ি মহারাজপুর বাজার এলাকায়।

সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী মৌসুমি আক্তার জানান, তাঁর স্বামী কয়েক দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বাড়িতেই শুয়ে ছিলেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান।

ফজলুর রহমানের ছেলে রুহুল রহমান জানান, তাঁর বাবা বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। তাঁকেও ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরাও খুলে নেওয়া হয়।  

তবে নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর সানরিয়া চৌধুরী জানান, ইমো হ্যাকিং’য়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগেও র‌্যাব একই অভিযোগে ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁর দাবি, গ্রেপ্তাররা চিহ্নিত ‘হ্যাকার’। তাঁদের কাছ থেকে বিপুলসংখ্যক মুঠোফোন ও সিমকার্ডসহ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, র‌্যাবের করা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।