লাশের পাশেই পড়ে ছিল খাবার, আলমারিও ছিল খোলা

আড়াইহাজার থানা-পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই ঘটনাস্থলে এসেছে। আজ দুপুরে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোবিন্দী এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মা-ছেলে খুনের ঘটনায় আড়াইহাজার থানা-পুলিশ ও সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। পুলিশের একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, নিহত রাজিয়া সুলতানা ও তাঁর ছেলে মো. তালহা কাজী (৮) একই বিছানায় ঘুমাতেন। তবে আজ রোববার সকালে তাঁদের লাশ পড়ে ছিল পৃথক দুটি কক্ষে।

রাজিয়ার লাশের পাশেই একটি বাটিতে কাঁঠাল ও কাঁঠালের বিচি পড়ে ছিল। এর পাশেই ছিল পানির বোতল। এদিকে আরেক কক্ষে নিহত তালহার লাশের পাশে থাকা স্টিলের আলমারিটি চাবি দিয়ে খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে। হত্যাকারী নিহত ব্যক্তিদের পূর্বপরিচিত বলে ধারণা করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোবিন্দী পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রাজিয়া উজান গোবিন্দী পশ্চিমপাড়া এালাকার মৃত আউয়াল নবীর স্ত্রী। আউয়াল নবী দুই বছর আগে মারা যান। এর পর থেকে স্বামীর রেখে যাওয়া আধাপাকা বাড়িতে রাজিয়া তাঁর ছেলে তালহাকে নিয়ে বাস করতেন।

রাজিয়ার বোন ফারহানা সুলতানা বলেন, রাজিয়ার পাশের বাড়িতে তাঁর চাচি শাশুড়ি ও আরেক পাকা বাড়িতে রাজিয়ার ভাতিজার বউ জান্নাতুল একা থাকেন। জান্নাতুলের স্বামী সৌদিপ্রবাসী। আজ ভোরে জান্নাতুল প্রথম রাজিয়াদের লাশ দেখতে পান। পরে তিনি স্বজনদের বিষয়টি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ দুটি উদ্ধার করে।

প্রিয়জনদের এমন মৃত্যুর খবরে স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন
ছবি: প্রথম আলো

আড়াইহাজার থানা-পুলিশ ও সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করছে। বেলা একটার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল ঘটনাস্থলে এসেছে। প্রিয়জনদের এমন মৃত্যুর খবরে নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে স্বজন ও প্রতিবেশী ভিড় করেছেন। তাঁরা ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই নারীর লাশ মেঝেতে পড়ে আছে। পাশের কক্ষের বিছানায় ওই শিশুর লাশ পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাঁদের গলা কেটে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।