লোহাগড়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা

পিটুনি
প্রতীকী ছবি

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় মো. আজিজুর রহমান (৪৫) নামের এক বেকারি ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজিজুর রহমান রামকান্তপুর গ্রামের মৃত গহের বিশ্বাসের ছেলে। লোহাগড়া বাজারে তাঁর একটি বেকারির দোকান আছে। তাঁর ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

নিহত আজিজুরের স্ত্রী সুমনা বেগম অভিযোগ করেন, আজিজুর বুধবার বেলা দুইটার দিকে বাড়ি থেকে পাশের শিয়রবর হাটে যাচ্ছিলেন। গ্রামের মিঠু সরদারসহ কয়েকজন রামকান্তপুর গ্রামের রাস্তায় তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেন। ভয়ে আজিজুর দৌড়ে সবুর মোল্লার ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েন। তাঁরা ওই ঘরের মধ্যে গিয়ে আজিজুরকে নির্মমভাবে পেটান। এরপর লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রান্ত সরকার প্রথম আলোকে বলেন, বেলা তিনটার দিকে আজিজুরকে হাসপাতালে আনা হয়। ১০ মিনিট পরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর হাত ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে।

আজিজুরের স্ত্রী সুমনা, ছেলে জিহাদ ও শ্যালক জামাল বিশ্বাস জানান, কিছুদিন আগে মিঠু সরদার একটি পানির পাম্প চুরির অপবাদ দেন আজিজুরের নামে। এর জেরে আজিজুর মারধর করেন মিঠু সরদারকে। এ ঘটনায় মিঠু সরদারের মামলায় আজিজুর কারাভোগ করেন। ১১ দিন আগে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন তিনি। এ নিয়ে বিরোধ ছিল তাঁদের মধ্যে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। অভিযুক্ত মিঠু সরদারের মুঠোফোনে কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফিরোজ ইকবাল। বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি বলেন, আজিজুরের পায়ে ও হাতে নৃশংসভাবে পেটানোর দাগ আছে। এক পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে করা কয়েকটি ছিদ্র আছে বলে মনে হচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্ত করতে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।