‘শরীরে গ্রেনেড নিয়ে পথ চলছি, মাঝেমধ্যে যন্ত্রণায় কাতরাতে হয়’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণা করে শরীয়তপুর–১ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন বলেছেন, ‘শরীরে গ্রেনেড নিয়ে রাজনীতির পথ চলছি, মাঝেমধ্যে যন্ত্রণায় কাতরাতে হয়। সেদিনের ভয়াল স্মৃতি মনে হলে এখনো আঁতকে উঠি। সেদিন আমার সহযোদ্ধা বন্ধু সেন্টু আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি প্রাণ হারান, আমিও মারা যেতে পারতাম। হয়তো মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় নেত্রীসহ অসংখ্য নেতার সঙ্গে আমিও বেঁচে ফিরেছি।’
শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শরীয়তপুর শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি এ কথা বলেন।
ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের একটাই কষ্ট, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান দেশ থেকে পালিয়ে গেল। এ দেশের আইন কিছুই করতে পারল না। বাংলার ১৬ কোটি মানুষ অপেক্ষায় আছে তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি দেখার জন্য।’
২১ আগস্টের শহীদদের স্মরণে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শনিবার সন্ধ্যায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়।
এসব অনুষ্ঠানে সাংসদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সাবেক সভাপতি আবদুর রব মুন্সি, জজকোটের পিপি মীর্জা হযরত আলী, আইনজীবী সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।