শরীয়তপুরে হচ্ছে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শরীয়তপুর জেলার মানিচত্র

শরীয়তপুরে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ–সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর করার পর আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া আইন প্রণয়ন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই খবর পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়ার পর শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শরীয়তপুরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক গত বছর জাতীয় সংসদের অধিবেশনে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান। শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তিনি ১০ জুন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে একটি আধা সরকারিপত্র (ডিও লেটার) দেন। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হলে ৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা নীতিগত অনুমোদন দেন।

মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে চিঠি দিয়ে যুগোপযোগী খসড়া আইন প্রণয়নের অনুরোধ করা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মাহমুদুল আলম এ–সংক্রান্ত চিঠিটিতে স্বাক্ষর করেছেন।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই অঞ্চলে কৃষি শিক্ষাকে আরও সমৃদ্ধ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে জেলায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খবর অনেক আনন্দের। নিঃসন্দেহে শরীয়তপুরবাসী তথা বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় আশীর্বাদ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।’

এ বিষয়ে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের দক্ষিণাঞ্চল কৃষি ও নদীপ্রধান এলাকা। এ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষকে আরও সমৃদ্ধ করতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা ছিল আমাদের। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল একটি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। আমাদের সেই স্বপ্নকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করার। আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’