শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন

বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর উপাচার্যের বাসভবন এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
ছবি: আনিস মাহমুদ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাত সোয়া সাতটার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের মূল সড়কের পাশ থেকে নেওয়া বিদ্যুতের তারটি কেটে দেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাত পৌনে আটটার দিকে তিনি বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাই উপাচার্যের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন।

এদিকে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপরই উপাচার্যের বাসভবন অন্ধকার হয়ে যায়। এর আগে রোববার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে প্রেস ব্রিফিং করে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য পদত্যাগ না করলে জরুরি পরিষেবা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এর ঠিক আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এর পরপরই মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছন্ন করার বিষয়টি জানানো হয়।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
ছবি: প্রথম আলো

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বাসভবনের সামনে বসে রয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনে পুলিশ সদস্য ও সংবাদকর্মী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।

শা‌বিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়।

আরও পড়ুন

পরদিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাঁদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, খুলনা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন