শিক্ষার্থীরা নয়, শিক্ষকেরাও মানসিক সমস্যায় পড়ছেন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তাঁরা এই দাবি জানান।

সংগঠনের সদস্য জাবেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে আমরা চাকরির বাজারসহ নানাভাবে পিছিয়ে যাচ্ছি। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। তাই আমরা দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানাচ্ছি।

অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। করোনা প্রতিরোধে কী ভূমিকা রাখা দরকার বিশ্ববিদ্যালয়েই তাঁর গবেষণা হওয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কারণে অনেক গবেষণা কার্যক্রম স্থবির। এতে কেবল শিক্ষার্থীরা নয়, শিক্ষকেরাও মানসিক সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় পারিবারিক পরিমণ্ডলে এর প্রভাব পড়ছে। কখনো কখনো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আচরণ কঠোর হয়ে যাচ্ছে।

আইন বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আলীম বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাজেটে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ওপর জোর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে যেন তাদের ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী হয়।

আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, সভ্য দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। সরকার চাইলে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে পারত। কিন্তু সরকার সেটি করেনি। এখন শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ কারণে দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া দরকার।

সংগঠনের সভাপতি কে এ এম সাকিবের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মতিউর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জেবা মাকসুরাসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।