জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন দিনের সময় নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ সোমবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য সৌমিত্র শেখরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে তিন দিনের সময় চায় প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা আগামী তিন কার্যদিবস সময় দিয়ে তাঁদের আন্দোলন স্থগিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, সাগরকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে তিন দিনের সময় চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আন্দোলনকারীরা সেটি মেনে নিয়ে আজ থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর চন্দ্র দেকে নির্যাতন করেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সৌমিক জাহান। এ ঘটনায় গতকাল শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ও কলাভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন।
আজ সকাল ১০টার দিকে উপাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বৈঠক শুরু হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন এবং ঘটনা তদন্তের জন্য তিন দিন সময় চান। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও তা মেনে নিয়ে আগামী রোববার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছেন।
সাগরের অভিযোগ, গত শনিবার বিকেলে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সৌমিক জাহান অগ্নিবীণা হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে তাঁকে রোলিং চেয়ারে (ঘূর্ণমান চেয়ার) বসিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে দোল দিতে থাকেন। একপর্যায়ে চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। এতে তাঁর দুটি দাঁত ভেঙে যায়। সন্ধ্যায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪ কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ ঘটনায় চার ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।