শিবগঞ্জে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীর কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ

হামলা
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নৌকার সমর্থকেরা বিদ্রোহী প্রার্থী মতিউর রহমানের নির্বাচনী কার্যালয় এবং কর্মী–সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে ইউনিয়নের বিহারবন্দর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই মতিউর রহমান বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম এবং বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিহার ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান প্রচারণা শুরু করেন। সন্ধ্যার পর শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদের নেতৃত্বে বিদ্রোহী প্রার্থী মতিউর রহমানের পক্ষে মোটরসাইকেল নিয়ে বিহারবন্দরে নির্বাচনী শোডাউন করা হয়। এ শোডাউনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

মতিউর রহমান অভিযোগ করেন, রাত আটটার দিকে নৌকার কর্মী–সমর্থকেরা তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে বেশ কিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। হামলায় তাঁর আটজন কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মতিউর রহমান জানান, মামলার এজাহারে ১৪ জন আসামির মধ্যে সবাই আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থক। তবে তাঁরা দলীয় কোনো পদে নেই। যেহেতু মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে, তাই তিনি মহিদুলকেও মামলার আসামি করতে চেয়েছিলেন। তবে থানা–পুলিশ মহিদুলের বিরুদ্ধে মামলা নিতে রাজি হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিদুল ইসলামের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সন্ধ্যার পর শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদের নেতৃত্বে বিদ্রোহী প্রার্থী মতিউর রহমানের পক্ষে মোটরসাইকেল নিয়ে বিহারবন্দরে নির্বাচনী শোডাউন করা হয়। এ শোডাউনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে জানান, এটা ঠিক নির্বাচনী প্রচারণা ছিল না, তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও শোডাউন করতে পারেন। মূলত তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিহার হয়ে বুড়িগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। হামলার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে হামলার খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিহারবন্দরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন পর্যন্ত যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই ইউনিয়নে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী মতিউর রহমান মামলা করেছেন। তাঁর অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।