শিবগঞ্জে বিএনপি নেতা শহিদুল হত্যাকাণ্ডে আ.লীগ নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়া জেলার মানচিত্র

বগুড়ার শিবগঞ্জে বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহত শহিদুল ইসলামের বড় ভাই আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আজ শনিবার সকালে শিবগঞ্জ থানায় এই হত্যা মামলা করেছেন।

মামলায় শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ এবং ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি ইয়াকুব আলীসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও চার থেকে পাঁচজনকে।

পুলিশ ইতিমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শ্রমিক লীগের সমর্থক ও শহিদুলের শ্যালক আমিরুল ইসলাম এবং ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য তারিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমিরুল ও তারিকুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শহিদুলকে সরিয়ে দিয়ে মোসলেম উদ্দিনকে চেয়ারে বসানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছিলেন ইয়াকুব আলী খাঁ ও আবু সাঈদ।

শহিদুল ইসলাম শিবগঞ্জ উপজেলার বেলাই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিএনপির কিচক বন্দর শাখা ও কিচক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন। পাশাপাশি তিনি আন্তজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কিচক বন্দর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদেও ছিলেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আন্তজেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কিচক বন্দর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে শহিদুলকে সরিয়ে দিয়ে ৫ নম্বর আসামি মোসলেম উদ্দিনকে চেয়ারে বসানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছিলেন ১ নম্বর আসামি ইয়াকুব আলী খাঁ ও ২ নম্বর আসামি আবু সাঈদ। এ নিয়ে বিরোধের জেরে শহিদুলের সংগঠন থেকে পাওয়া দৈনিক ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিষয়টি তিনি কিচক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানালে আসামিরা ক্ষিপ্ত হন।

এর জেরে ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে আসেন আসামিরা। তাঁরা শহিদুলকে পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। পদ ছেড়ে দিতে রাজি না হওয়ায় ইয়াকুব আলীর নির্দেশে আবু সাঈদ শহিদুলকে পেটে ছুরিকাঘাত করেন। অন্য আসামিরা মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরিকাহত শহিদুলকে সেখানে জোরপূর্বক আটকে রাখেন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় শহিদুলকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।