শিমুলিয়ায় সকালে যাত্রীর চাপ কম, বিকেলে বাড়তে পারে

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ নেই। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে
ছবি: প্রথম আলো

ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া এবং মাদারীপুরে বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম। তবে বিকেল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে বলে ঘাট কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে।

ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুদিন ধরে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মানুষ বাড়িমুখী হচ্ছে। সাহ্‌রির পর ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ স্বাভাবিকই থাকে। শুক্রবার সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। ফলে আজ দুপুরের পর ঘাটে চাপ বাড়তে পারে।

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দি নৌপথে ছোট-বড় ৯টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। রয়েছে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৩টি স্পিডবোট। ফেরি চলবে ২৪ ঘণ্টা। লঞ্চগুলো সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং স্পিডবোটগুলো চলবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। স্পিডবোটে ১৫৫ টাকা ও লঞ্চে ৪৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘাটে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের ৯টি ফেরি আছে। ৯টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে। তবে রাতের বেলায় তিনটি ফেরি বন্ধ রাখা হবে। সকালে ঘাটে যানবাহনের কিছুটা চাপ ছিল। সকাল ৯টার পর থেকে ঘাটে গাড়ির চাপ নেই। তবে আজ অফিস শেষ হওয়ার পর ঘাটে চাপ পড়ার সম্ভাবনা আছে।

আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটের অবস্থা স্বাভাবিক ছিল। পার্কিং ইয়ার্ডে কোনো গাড়ি নেই। ঘাটের সংযোগ সড়কগুলোও ফাঁকা ছিল। লঞ্চঘাট এলাকায় যাত্রী পারাপার ছিল স্বাভাবিক। ঈদকে সামনে রেখে অল্পস্বল্প যাত্রী পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন লঞ্চ ও স্পিডবোটে।

ফরিদপুরের ভাঙা এলাকার রিয়া ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আট বছর ধরে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করেছি। এবার বাবার বাড়িতে ঈদ করব। শুক্রবার এই নৌপথে প্রচণ্ড ভিড় হতে পারে, তাই আজকেই মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি যাচ্ছি।’

আরিফুল ইসলাম নামের শরীয়তপুরের এক যাত্রী বলেন, তিনি ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। আজ ঘাটে চাপ কম। তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে সকাল সকাল বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের ইজারাদার চঞ্চল মাহমুদ বলেন, প্রতি ঈদের আগে তিন দিন শুধু লঞ্চে করেই সোয়া দুই লাখ যাত্রী এ ঘাট দিয়ে তাদের গন্তব্যে যায়। আজ সকাল পর্যন্ত ঘাটে চাপ পড়েনি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে যাত্রীরা লঞ্চে করে পার হচ্ছে। আজ বিকেল থেকে চাপ শুরু হবে।

নৌ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, ‘সকালে ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট ঘাট পরিদর্শন করেছি। কোথাও কোনো চাপ নেই। আমরা আশা করছি, দুপুর থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। লঞ্চ–স্পিডবোটের মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। যাত্রী নিরাপত্তার জন্য আমরা সর্বোচ্চসংখ্যক পুলিশ নিয়োগ করেছি। যে নৌযানের ফিটনেস নেই, সেগুলোকে আমরা চলতে দিচ্ছি না। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।’