শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষণ নেই। গতকাল শিমুলিয়া ঘাটে।
ছবি: দীপু মালাকার

ঈদের ছুটি শেষে আজ শুক্রবার সকাল থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ যেমন কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরছেন, তেমনি শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় ঢাকা থেকে অনেকে ওই সব জেলায় ছুটছেন। ফলে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথের উভয় দিকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে ফেরিতে। ঈদের পরদিন থেকে রাজধানী ফিরতে শুরু করেন মানুষ। তবে যাঁরা ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি, তাঁরাও দলে দলে ঢাকা ছাড়েন। এ নৌপথে এক সপ্তাহ ধরে উভয় ঘাট থেকে সমানতালে যাওয়া–আসা চলছিল। শুক্রবার ছুটির দিন তাই ঢাকা থেকে প্রচুর মানুষ গ্রামে যাচ্ছেন। আবার ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকার দিকে রওনা করছেন যাত্রীরা। এর ফলে আজ ঘাটের দুই দিকেই যাওয়া–আসার চাপ অন্য সময়ের তুলনা অনেক বেড়েছে। ফেরিতে মানুষের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কম। যাত্রীদের চাপে এই নৌপথে চলাচল করছে ১৭টি ফেরি। ফেরি থেকে নামার পরে তিন থেকে চার গুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন যাত্রীরা। এতে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। একে অপরের গা ঘেঁষাঘেঁষি করে যাতায়াত করায় বাড়ছে করোনার ঝুঁকি।

ঢাকামুখী কয়েকজন যাত্রী জানান, বিপণিবিতানসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। শুধু দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ। এ কারণে ফেরিতে গাদাগাদি করে নদী পার হতে হচ্ছে। ভেঙে ভেঙে যাওয়া–আসা করতেও কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা ঝুঁকিও বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার যানবাহন চালু থাকলে সবার জন্য মঙ্গল হতো।

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বলেন, ঘাটে ছোট–বড় ১৭টি ফেরি সচল আছে। এগুলো দিয়ে ২৪ ঘণ্টাই অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। শিমুলিয়া ঘাটে তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যা বেশি। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় গাড়িগুলো দ্রুত পারাপার করা হচ্ছে।