শেরপুরে পৃথক স্থান থেকে ২ নারীর লাশ উদ্ধার

লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

শেরপুরে পৃথক স্থান থেকে দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁরা হলেন শহরের মীরগঞ্জ এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৩৫) এবং সদর উপজেলার কুমরী কৃষ্ণপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৬)। আজ শনিবার সকালে শহরের বাগরাকসা এলাকা থেকে ফাতেমা এবং দুপুরে সদর উপজেলার কুমরী কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে মনোয়ারার লাশ উদ্ধার করে সদর থানার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফাতেমা আক্তার রফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁর বাবার বাড়ি নালিতাবাড়ী উপজেলার ছিটপাড়া গ্রামে। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে ফাতেমা তাঁর বাবার বাড়ি নালিতাবাড়ী থেকে স্বামী রফিকুলের সঙ্গে দেখা করার জন্য সন্তানদের নিয়ে তাঁর ফুফাতো বোন রুপালি আক্তারের বাগরাকসা এলাকার বাসায় আসেন। দুই দিন আগে রফিকুল ফাতেমাকে টাকাপয়সা ও সন্তানদের জন্য পোশাক কিনে দিয়ে যান। কিন্তু গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ফাতেমার সন্তানেরা কান্নাকাটি করতে থাকলে তাঁর ফুফাতো বোন রুপালি আক্তার ঘরে গিয়ে ফাতেমাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে আজ সকাল নয়টার দিকে সদর থানার পুলিশ রুপালি আক্তারের বাসা থেকে ফাতেমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে।

শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ফাতেমার সন্তানেরা কান্নাকাটি করতে থাকলে ফুফাতো বোন রুপালি আক্তার ঘরে গিয়ে ফাতেমাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুনসুর আহাম্মদ আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত ফাতেমার শরীরে আঘাতের বা অন্য কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

অপর দিকে সদর উপজেলার কুমরী কৃষ্ণপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে পেটব্যথাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত মনোয়ারা ঘুম থেকে না ওঠায় স্বজনদের সন্দেহ হয়। পরে কুমরী কৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়িসংলগ্ন একটি ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় নাইলনের রশি দিয়ে মনোয়ারাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্বজনেরা। সংবাদ পেয়ে বেলা একটার দিকে মনোয়ারার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সদর থানার পুলিশ।

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোফাখখির আহম্মেদ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলার প্রক্রিয়া চলছে।