শের-ই-বাংলা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে মৃত্যু চার অঙ্কে পৌঁছাল
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়াল। আজ রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা পজিটিভ এবং উপসর্গ নিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১ জনে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ১১ জন মারা যান করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে। বাকি চারজন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এ নিয়ে গত বছরের মার্চ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত করোনা ইউনিটে মোট মৃত্যু ১ হাজার ১ জনে পৌঁছাল। আজ রোববার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ১ হাজার ১ জনের মধ্যে উপসর্গ নিয়ে মারা যান ৭২৪ জন। আর করোনা পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয় ২০৭ জনের। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৭২৪ জনের মধ্যে ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল অপেক্ষমাণ।
হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, বিভাগের সবচেয়ে বড় এই করোনা হাসপাতালে ৩০০ শয্যার বিপরীতে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত ৩৩০ রোগী চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে ১৩৬ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৯৪ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
গত বছরের ১০ মার্চ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্ব পাশে নবনির্মিত একটি পাঁচতলা ভবনে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সেখানে রোগী ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা শুরু হয়।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এই ইউনিটের শয্যাসংখ্যা গত বছর ১০০, এরপর ১৫০ এবং চলতি বছর তা দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৩০০-তে উন্নীত করা হয়। জুলাই মাসে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে এই ৩০০ শয্যায়ও রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে অনেক রোগী মেঝেতে শয্যা পেতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ১২ জুলাই বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালকে প্রথমে ২২ শয্যা এবং পরে ১০০ শয্যায় উন্নীত করে পূর্ণাঙ্গ করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করে।