শ্রেণিকক্ষে টিকটক করায় টেকনাফে তিন স্কুলছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার

টিকটক
ছবি: রয়টার্স

কক্সবাজারের টেকনাফে সাবরাং উচ্চবিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বসে টিকটক করায় তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজ দৌল্লা।

সাময়িক বহিষ্কার তিন শিক্ষার্থীর একজন নবম শ্রেণির ছাত্র ও বাকি দুজন সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এদিকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের খবর পেয়ে এই তিন শিক্ষার্থী একই বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বহিষ্কার হওয়া ওই তিন ছাত্র সাবরাং উচ্চবিদ্যালয়ের ভেতরেই টিকটক ভিডিও বানাত। গত বুধবার বিদ্যালয়ের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী বিদ্যালয়ের ভেতরে টিকটক করার সমালোচনা করে পোস্ট দেয়। এদিকে সাবরাং উচ্চবিদ্যালয়ে করোনাভাইরাসের টিকাকেন্দ্রও রয়েছে। কয়েক দিন আগে বিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থীর বানানো টিকটক ভিডিওতে টিকা নিতে আসা এক নারীকে দেখানো হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হয়। এটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও নজরে এসেছিল বলে জানা গেছে।

এর মধ্যে ওই তিন শিক্ষার্থী সম্প্রতি শ্রেণিকক্ষে বসে টিকটকে ভিডিও বানায়। পরে ওই ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করলে প্রধান শিক্ষক তিন শিক্ষার্থীকে ডেকে নেন। পরে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ অভিভাবককে আনতে বলা হলেও তাঁরা কোনো সাড়া দেয়নি। পর ওই তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকেরা।

প্রধান শিক্ষক মফিজ দৌল্লা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা নিয়মিত টিকটক ভিডিও বানায় বলে স্বীকার করেছে। শ্রেণিকক্ষে টিকটক ভিডিও বানানোর জন্য তিন শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়েছিল। এ ব্যাপারে তাদের অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে আনার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই তিন শিক্ষার্থী কথা শোনেনি। তাই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে জানিয়ে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে আবার তিন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের সামনেই তিন ছাত্রকে মারধর করে আহত করছে। এসব ব্যাপারে পরিচালনা কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতি ও সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, তিনি সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি জানেন। এ বিষয়ে ওই তিন শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।