সংসদ সদস্যকে নিয়ে সভা, আ.লীগ প্রার্থীকে সতর্ক করলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা

নেতা–কর্মীদের সঙ্গে দলীয় মেয়র প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন। গতকাল শনিবার রাতে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

সংসদ সদস্যকে নিয়ে সভা করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক ওরফে রিফাতকে সতর্ক করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আজ রোববার দুপুর ১২টায় নগরের ছোটরা এলাকার আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরীর দপ্তরে তাঁকে তলব করা হয়। ভবিষ্যতে আর আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে না বলে আশ্বস্ত করেন আরফানুল হক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর গতকাল শনিবার রাত সোয়া আটটায় ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসেন আরফানুল হক। এরপর তিনি কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ক ম বাহাউদ্দিনের সঙ্গে কুমিল্লা নগরের রামঘাট মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান। এরপর সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন দলীয় মেয়র প্রার্থী ও নেতা–কর্মীদের নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আরফানুল হককে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী তলব করেন। এ সময় তিনি আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, শনিবার দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের নিয়ে সংসদ সদস্য ও মেয়র প্রার্থী সভা করেন। এটা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে। তাই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে ডেকে এনে আচরণবিধি মানার জন্য বলা হয়। বিধি মোতাবেক একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনী প্রচারণার কোনো পর্যায়ে থাকতে পারেন না।

শনিবারের সভায় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন করতে দেশের একটি প্রচলিত আইন পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমার একটাই কষ্ট, সিটি করপোরেশনটা বানাইলাম, আমাদের লোক তো মেয়র হতে পারল না। আপা (শেখ হাসিনা) প্রথমবার আফজল খানকে মেয়র পদে নমিনেশন (মনোনয়ন) দিলেন। তিনি ৩৫ হাজার ভোটে ফেল করেছেন। পরেরবার আবার একটা চক্রান্ত করে ওনার (আফজাল খান) মেয়েকে (আঞ্জুম সুলতানা) দিয়ে দিলেন। এবার আমাদের প্রার্থী রিফাত (আরফানুল হক)। আগামী ১৫ জুন কুমিল্লার নেক্সট মেয়র জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেব।’

সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন আরও বলেন, ‘অনেক দিন পর আমাদের রাজনীতির এক অ্যাচিভমেন্ট (অর্জন) হয়েছে। আমি কুমিল্লাবাসীকে বলব, নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের পর আমার আর আপনাদের সামনে আসার সুযোগ নেই। মানুষ যেন শান্তিতে ভোট দিতে পারে, সেটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’