সংস্কারের অভাবে মানুষের দুর্ভোগ

বিশেষ করে অতিবৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য ও মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সংস্কার না করায় শেরপুর শহরের নবীনগর-রাজবল্লভপুর-দুর্গানারায়ণপুর সড়কে পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ২১ মে শহরের রাজবল্লভপুর এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

সংস্কারের অভাবে শেরপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ নবীনগর-রাজবল্লভপুর-দুর্গানারায়ণপুর সড়কটি খানাখন্দে ভরপুর। বিশেষ করে অতিবৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য ও মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়কটির দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৪ মিটার। শহরের গুরুত্বপূর্ণ নবীনগর বাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে রাজবল্লভপুর ও দুর্গানারায়ণপুর হয়ে ফ্যাক্টরি মোড়ে গিয়ে সড়কটি শেষ হয়েছে। বাণিজ্যিক, আবাসিক এলাকাসহ শহরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও এলাকাবাসীর চলাচলের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়কে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। সড়কের দুই পাশে রাজবল্লভপুর রামকিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুর বিজ্ঞান কলেজ, আনন্দপাঠ ধাম, কয়েকটি কোচিং সেন্টার, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, অর্ধশত চালকল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কয়েক শ বাসাবাড়ি রয়েছে। এ এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বাস করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির সংস্কারকাজ না হওয়ায় এলাকাবাসী ও পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এবং ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

২১ মে সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির অধিকাংশ স্থানে পিচ ওঠে গিয়ে ইট-সুরকি বের হয়ে গেছে ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে সড়কের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে সড়কটি দেবে গেছে ও পানি জমে আছে। সড়কের নালাটি (ড্রেন) ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্যে ভরে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়েছে ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙাচোরা এ সড়ক দিয়ে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

রাজবল্লভপুরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, এক থেকে দুই ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি হলে এ সড়কে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তখন এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকে না।

দুর্ভোগ লাঘবে এলাকাবাসী সড়কের দুই পাশে প্রয়োজনীয় নালা (ড্রেন) নির্মাণসহ অনতিবিলম্বে তা সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম বলেন, বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে আপাতত পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে প্রয়োজনীয় মেরামতের কাজ করে দেওয়া হবে। তবে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পৌর পরিচালন ও সেবা প্রকল্পের আওতায় সড়কটির সম্প্রসারণ- ও উন্নয়নকাজের জন্য এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।