সন্তানকে সময় দিন, মাদকাসক্তি ঠেকান
প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে ১৬ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটায় পরামর্শ সহায়তা-৫১-এর আসরটি অনুষ্ঠিত হয় ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে। এ আয়োজনে মাদকাসক্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মনোরোগ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মাদকাসক্তি নিরাময়ের জন্য তাঁদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন। পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো

অনুষ্ঠানের শুরুতে মোহিত কামাল সবাইকে শুভেচ্ছে জানিয়ে বলেন, সমাজে মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। আপনার আমার কারও সন্তানই নিরাপদ নয়। এ জন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কারও সন্তান যদি মাদকাসক্ত হয়েই পড়ে, তা হলে আপনারা হতাশ হবেন না। অনেকে মনে করেন, মাদকাসক্তি একটা কঠিন রোগ। এটা কখনো ভালো হয় না। তাঁরা একেবারে হাল ছেড়ে দেন। কিন্তু আজকাল মাদকের আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে। সঠিক পরিচর্যা এবং ধৈর্যের সঙ্গে চিকিৎসা করলে সবাই স্বাভাবিক জিবনে ফিরে আসতে পারে।
প্রশ্ন: কেন মানুষ ইয়াবা নেয়? আমার ছেলের বয়স ২৬ বছর। সে ইয়াবা খায়। রাত-দিন ঘুমায়। এখন কী করতে পারি।
সমাধান: বিভিন্ন কারণে মানুষ ইয়াবা নেয়। যেমন: কৌতূহল, বন্ধুদের চাপ ইত্যাদি। আবার ইয়াবা সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। যেমন: অনেকে মনে করেন, ইয়াবা খেলে শরীর স্লিম হয়, যৌনশক্তি বাড়ে, কাজে আনন্দ পাওয়া যায় ইত্যাদি। ইয়াবা সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করা যায়। সহজে লুকিয়ে রাখা যায়। এসবও ইয়াবা সেবনের কারণ হতে পারে। কারণ যা-ই হোক না কেন, ইয়াবাসহ যেকোনো মাদক সেবন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। ইয়াবা খেলে প্রচণ্ড বিষণ²তা তৈরি হয়। একসময় মানসিক বৈকল্য দেখা দেয়। মেজাজ খিটখিটে হয়। ধীরে ধীরে যৌনশক্তি হারিয়ে যায়। কোনো কজে আগ্রহ থাকে না। কাজ করার শক্তিও নিঃশেষ হয়ে যায়। শরীর ভীষণ দুর্বল হতে থাকে। আর দশটি অসুখের মতো ইয়াবা সেবনও একটি রোগ। আপনার সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করুন। তার সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করুন। সে কত দিন যাবৎ ইয়াবা খাচ্ছে, এখন তার শারীরিক অবস্থা কেমন, সবই জানার চেষ্টা করুন। তাকে দ্রুত কোনো চিকিৎসকের কাছে আনুন। অথবা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসা করলে দ্রুত সেরে উঠতে পারবে।
প্রশ্ন: আমার মেয়ে মোবাইল, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেটে আসক্ত। এটা কতটা ক্ষতিকর? এটা কী মাদকের পর্যায়ে পড়ে?
সমাধান: মাদকের মতোই মানুষ মোবাইল, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে থাকে। মাদকের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। কিন্তু প্রযুক্তির মধ্যে কোনো রাসায়নিক থাকে না। তবে মাদকের মতো এটা মানুষের মস্তিষ্ককে আক্রান্ত করে। ভালো-মন্দ যেকোনো বিষয়ে অতিরিক্ত আসক্ত হওয়া যেকোনো মনুষের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত আসক্তি থেকে হঠাৎ বেরিয়ে আসা যায় না। আসক্তি সহজে নিরাময় হয় না। আস্তে আস্তে এ থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। আপনার সন্তানকে দিনের নির্দিষ্ট সময় মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিতে হবে। এটা কঠিন কোনো সমস্যা নয়। আপনার সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হবে। তাকে ভালো-মন্দ সবকিছু বোঝাতে হবে। সাইকো থেরাপির মাধ্যমে এ আসক্তি দূর করা যায়। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ যেকোনো সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে আনতে পারেন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিলে এ আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়া যাবে। এটা এখন একটি কমন সমস্যা। এ সময় ছেলেমেয়ে অবাধ্য হতে পারে। টেলিভিশন, ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য একটা নিয়ম করতে হবে। আস্তে আস্তে মোবাইলে কথা বলা কমাতে হবে। একেবারে বন্ধ করলে সমাধান আসবে না। এতে মনের ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে। বন্ধ ঘরে মোবাইল, ইন্টারনেট ও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে ঠিক হয়ে আসবে।
প্রশ্ন: আমার স্বামী সব ধরনের মাদক খায়। তার সিজোফ্রেনিয়া ছিল। এখন মনে হয়, তাঁর মানসিক সমস্যাও আছে। আমাকে খুব সন্দেহ করে। আগে সংসার ভালোই চলছিল। এখন সমস্যায় পড়ে গেছি। আমি কী করতে পারি?
সমাধান: প্রথমে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। এসব চিকিৎসায় ধৈর্যের কোনো বিকল্প নেই। তাঁর সিজোফ্রেনিয়া, মানসিক সমস্যা সবই হয়তো আছে। আপনার স্বামীর সঙ্গে কথা বললে বা তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে সমস্যাগুলো বুঝতে পারতাম। তাঁকে না দেখে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। যদি সিজোফ্রেনিয়া ও মানসিক রোগ থাকে, তা হলে আলাদাভাবে চিকিৎসা করতে হবে। যারা সবার সামনে নেশা করে, তাদের সাধারণত মানসিক সমস্যা থাকে। সিজোফ্রেনিয়া রোগীরা কিছু বিষয়ে বেশি সন্দেহ করে। আপনার স্বামীর সন্দেহের কারণ সিজোফ্রেনিয়া হতে পারে। বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি হাসপাতালে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আমরা তাঁকে পরীক্ষা করে চিকিসার ব্যবস্থা করব। মনে হয়, তিন থেকে ছয় মাস চিকিৎসা দিলে ভালো করা সম্ভব। মাদকাসক্তি, সিজোফ্রেনিয়া, মানসিক সমস্যা—সবকিছু নিয়ে তিনি বিপর্যস্ত। এ জন্য যত অনিয়ম করছেন। দিন দিন শারীরিক অসুস্থতা ভয়ানক খারাপের দিকে যাবে। আর দেরি না করে এখনই চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসেন।
প্রশ্ন: আমার সন্তানের বয়স ২৫ বছর। পাঁচ বছর যাবৎ নেশা করে। বাথরুমে দরজা বন্ধ করে দীর্ঘ সময় নেশা করে। কোনোভাবে চিকিৎসা করতে চায় না। দিনে ঘুমায়। নেশার কথা কোনোভাবে স্বীকার করে না। এখন কীভাবে তাকে ভালো করব?
সমাধান: সম্ভবত সে ইয়াবায় আসক্ত। ইয়াবা ও হেরোইন খেতে সময় বেশি লাগে। ইয়াবা নিলে সঙ্গে সঙ্গে ঘুম আসবে না। পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর ঘুম আসে। ইয়াবা, হেরোইন কী খায়, যেকোনো হাসপাতালে পরীক্ষা করালেই বুঝতে পারবেন। যারা মাদক নেয় তারা সব সময় মিথ্যা বলে। মাদক গ্রহণের কথা সব সময় স্বীকার করতে চায় না। সন্তানের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ানো যাবে না। তার সঙ্গে খোলামেলাভাবে মিশতে হবে। একসময় সে আপনাকে আপন ভাবতে শুরু করবে এবং মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করবে। যখনই স্বীকার করবে, তখনই তাকে ভালো কোনো মাদক নিরাময়কেন্দ্রে আনতে হবে। দু-তিন মাস চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যাবে। আর দেরি না করে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে আসুন। মাদকাসক্তের চিকিৎসা যত দ্রুত করা যায়, ততই মঙ্গল।
প্রশ্ন: আমার ভাইয়ের বয়স ২০ বছর। কত দিন ধরে নেশার সঙ্গে জড়িত, তা বুঝতে পারি না। সারা রাত জেগে থাকে। দিনে ঘুমায়। টাকাপয়সা চুরি করে। কখনো মাদকের কথা স্বীকার করে না।
সমাধান: আপনার ভাইয়ের কোনো মানসিক সমস্যা থাকতে পারে। মানসিক সমস্যা থাকলে আগে এর চিকিৎসা করতে হবে। এ জন্য আপনি ভাইকে আমাদের শ্যামলী মানসিক হাসপাতালে আনতে পারেন। এখানে খুব অল্প খরচে চিকিৎসা করানো যাবে। তাকে সরাসরি মাদকের প্রশ্ন করা যাবে না। আগে তাকে স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে তার মন জয় করতে হবে। বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে হবে। সে যেন বাড়ির সবাইকে আপন মনে করতে পারে। তা হলে সে মাদকের কথা স্বীকার করবে এবং সঙ্গে সঙ্গে ভালো কোনো নিরাময়কেন্দ্রে ভর্তি করতে হবে। কোনোভাবেই যদি স্বীকার না করে, তা হলে জোর করেই তাকে নিরাময়কেন্দ্রে আনতে হবে। যেভাবেই হোক চিকিৎসা ছাড়া বিকল্প নেই। নিজের ইচ্ছায় নিরাময়কেন্দ্রে এলে রোগী দ্রুত সেরে ওঠে। জোর করে আনলে সে ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগতে পারে।
প্রশ্ন: আমি উচ্চমাত্রায় মাদকাসক্ত। চার-পাঁচ মাস যাবৎ ইয়াবায় আসক্ত। এ থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। এখন কী করব?
সমাধান: আমাদের সবার পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন। আপনি নিজের ইচ্ছায় ভালো হতে চান এবং খোঁজ নিয়ে এখানে এসেছেন। যে নিজের ইচ্ছায় ভালো হতে চায়, সে এমনিতে অর্ধেক ভালো হয়ে যায়। মাদক ছেড়ে দেওয়া এমন কোনো কঠিক কাজ নয়। প্রথম কয়েক দিন কিছুটা অস্বস্তি লাগে। ভালো কোনো নিরাময়কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলে ঠিক হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তির। অর্থাৎ মাদকাসক্ত ব্যক্তি নিজে ভালো হতে চায় কি না। আপনি আমাদের শ্যামলী মানসিক হাসপাতালে আসেন। আমরা অপনাকে কম খরচে দ্রুত সারিয়ে তুলতে চেষ্টা করব। আজ থেকে আপনি আপনার জীবনের নিয়মগুলো বদলে ফেলুন। যে বন্ধুরা মাদক নেয়, তাদের সঙ্গে মিশবেন না। যেসব জায়গায় মাদক নিতেন, সেখানে যাবেন না। নিজের কাছে টাকাপয়সা রাখবেন না। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করবেন না। চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। সম্পূর্ণ ভালো হওয়ার পরও দুই বছর চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। কারণ, মাদকাসক্ত রোগী ভালো হওয়ার পরও আবার যেকোনো সময় মাদক নিতে পারে।
কয়েকজন মাদকমুক্ত তরুণের অভিজ্ঞতা: মাদক নিতে নিতে আমাদের জীবনের প্রায় সবকিছু ধ্বংস হয়েছিল। এদিকে মা-বাবাসহ নিকটজনদের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার সব পথ বন্ধ হলো। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বাজন—সবাই আমাদের ঘৃণা করত। নিজেদের বলতে আর কেউ থাকল না। আমাদের সামনে আর কোনো পথও খোলা রইল না। কোনো কারণ ছাড়াই বারবার পুলিশ ধরে নিত। মারধর করত। হাজতে আটকিয়ে রাখত। দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতে হতো। তখন মনে হলো, এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা যদি ভালো থাকতাম, তা হলে পুলিশ সন্দেহ করত না। হাজতে থাকতে হতো না। মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে পারতাম। জীবন কতই না সুন্দর হতো! তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম মাদক ছাড়তে যত কষ্টই হোক আর মাদক গ্রহণ করব না। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতো চিকিৎসা করলাম। চিকিৎসার পর এখনো তাঁদের পরামর্শমতো চলছি। এখন অনেক ভালো আছি। ওই অন্ধকার সময়ের কথা আর ভাবতে চাই না। যাঁরা মাদক গ্রহণ করছেন, তাঁদের বলব, মাদক থেকে ফিরে আসুন। জীবন অনেক সুন্দর। একে মাদকের মতো নিকৃষ্ট বস্ত্তর সঙ্গে সম্পৃক্ত করার কোনো অর্থ হয় না।
মাদকমুক্ত তরুণদের প্রতি একজন অভিভাবক: ‘কেন তোমরা মাদক নিয়েছিলে? মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য পরিবারের কোনো অবহেলা বা দোষ আছে কি না?
মাদকমুক্ত একজন তরুণ: মাদক গ্রহণের বিভিন্ন কারণ আছে। কোনো সন্তান মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য প্রথম দায়ী পরিবার। নিজের পারিবারিক পরিবেশের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমন, অনেক ক্ষেত্রে মা-বাবা সন্তাদের প্রতি উদাসীন থাকেন। সন্তানদের সময় দেন না। নিজেদের কাজ নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকেন। কোথাও বেড়াতে নিয়ে যান না। সন্তানদের চাওয়া-পাওয়ার গুরুত্ব দেন না। যে ধরনের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা পরিবার থেকে পাওয়ার কথা, অনেক ক্ষেত্রে পরিবারে সেটা থাকে না। পরিবারের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা থাকতে হবে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা থাকে না। এখানে যাঁরা উপস্থিত আছেন, কয়জন মা-বাবা বলতে পারবেন, সন্তানদের নিয়ে ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি খেলা দেখতে যান? ভলো কোনো সিনেমা, নাটক দেখতে যান? শহরে বা শহরের বাইরে কোথাও ঘুরতে যান এবং শেষ কবে গিয়েছেন, সেটাও মনে করতে পারবেন কি না জানি না। সন্তানদের কার্যকর সময় দিতে হবে। সবশেষে বলব অভিভাবকদের সন্তানকে সময় দিন, মাদকাসক্তি ঠেকান। নানা কারণে সন্তানেরা হতাশ হতে থাকে। এ হতাশা থেকে একসময় মাদক গ্রহণ করে। তাই সন্তানদের কেবল টাকাপয়সা, খাদ্যখাবার দিলেই হবে না, তাদের কর্যকর সময় দিতে হবে। অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে সবকিছু পাওয়ার পরও মাদকাসক্ত হতে পারে। তবে এর সংখ্যা খুব কম।
পরামর্শ দিয়েছেন যাঁরা:
মোহিত কামাল, অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
আহমেদ হেলাল, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
অভ্র দাশ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
মেখলা সরকার, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
সিফাত ই সাঈদ, মনোরোগ বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
ইকবাল মাসুদ, পরিচালক, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন
ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, নির্বাহী পরিচালক, আপন
সঞ্চালনায়: ফেরদৌস ফয়সাল, গ্রন্থনা: আশফাকুজ্জামান
পরবর্তী অনুষ্ঠান
পরামর্শ সহায়তা-৫৩
তারিখ: ৩০ অক্টোবর
সময়: বিকেল সাড়ে চারটায়
স্থান: ডব্লিউভিএ মিলনায়তন বাড়ি: ২০, ধানমন্ডি ২৭, ঢাকা
যোগাযোগ: ০১৭১৬২৪২২১৫
প্রথম আলো মাদকবিরোধী আন্দোলন