বন্যার সময় ডুবে যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। সেই পানি এখনো সরেনি। মঙ্গলবার সরিষাবাড়ীর চর হরিপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা রয়েছে। কিন্তু জামালপুরের সরিষাবাড়ীর ৩৫টি বিদ্যালয়ে এখনো বন্যার পানি থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস শুরু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি উচ্চবিদ্যালয় ও ৩টি মাদ্রাসায় বন্যার পানি রয়েছে। যমুনার তীরবর্তী বালিয়ামেন্দা প্রকাশ মীর কুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়শা আক্তার বলে, ‘শুনতাছি ১২ তারিখ সব স্কুল খুলব। কিন্তু এহন আবার স্কুলে বানের পানি। আমগো তাহলে কী হব?’

চর হরিপুর দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আহম্মেদ উল্লাহ জানান, ১০ দিন ধরে স্কুলের মাঠে ও ভবনের ভেতরে বন্যার পানি। ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলা নিয়ে শিক্ষকেরা চিন্তিত।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘উপজেলার ১৩৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭টিতে বন্যার পানি রয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী সব স্কুল-কলেজ খুললেও আমরা চিন্তায় আছি। পানিবন্দী স্কুলগুলোতে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব স্কুলে কীভাবে শ্রেণিকক্ষে সশরীর পাঠদান শুরু করা হবে, সেটিই এখন চিন্তার বিষয়।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, প্রায় দেড় বছর পর স্কুল খোলার খবরে আনন্দ লাগছে। শিক্ষার্থীরাও এখন খুশি। কিন্তু বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি থাকায় পাঠদান শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।