সহিদুরের মুক্তি চেয়ে জেলা আ.লীগের নামে পোস্টার, আ.লীগের ‘না’

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খানের মুক্তির দাবিতে সাঁটানো পোস্টার
ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান। তাঁর মুক্তির দাবিতে জেলা আওয়ামী লীগের নামে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তবে জেলা আওয়ামী লীগ বলছে, এই পোস্টারের সঙ্গে সংগঠনটির সম্পৃক্ততা নেই।

আজ বুধবার জেলা আওয়ামী লীগের সভায় ওই কথা জানানো হয়। এতে ভবিষ্যতে জেলা আওয়ামী লীগের অনুমতি ছাড়া কেউ যাতে এ ধরনের পোস্টার করতে না পারেন, সে ব্যাপারেও সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয়।

ফারুক আহমেদ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা শহরের কলেজপাড়া এলাকায় বাসার কাছ থেকে তাঁর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এর তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ সদর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ৬ বছর আত্মগোপনে থাকার পর ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সহিদুর। এরপর তাঁর মুক্তি চেয়ে পোস্টার ছাপানো হয়।

জেলা আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই ফারুক হত্যার বিচার চেয়ে আসছে। কোনো হত্যাকারীর মুক্তির দাবির প্রশ্নই আসে না।
জোয়াহেরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগ, টাঙ্গাইল

সহিদুরের মুক্তি চেয়ে পোস্টারের বিষয়টি নিয়ে আজ জেলা আওয়ামী লীগের সভা হয়। বেলা ১১টার দিকে জেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ সভা করা হয়। এতে সংগঠনটির জেলা সভাপতি ফজলুর রহমান খান সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক সাংসদ জোয়াহেরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা প্রমুখ।

সভায় ফারুক হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমানের মুক্তি চেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নামে পোস্টার বের করায় প্রতিবাদ জানানো হয়। বলা হয়, এই পোস্টারের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, ফারুক হত্যা মামলার কোনো আসামির মুক্তি জেলা আওয়ামী লীগ দাবি করতে পারে না। জেলা আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই এ হত্যার বিচার চেয়ে আসছে। কোনো হত্যাকারীর মুক্তির দাবির প্রশ্নই আসে না।

সহিদুর টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সাংসদ ও ফারুক হত্যার প্রধান আসামি আমানুর রহমান খানের ভাই। আমানুর ২২ মাস পলাতক থাকার পর ২০১৬ সালে আত্মসমর্পণ করেন। দুই বছর কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। মামলাটির অন্যতম আসামি আমানুরের অপর দুই ভাই ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান এখনো পলাতক।