রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মাদার বখ্শ হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাজলকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে হল প্রাধ্যক্ষ মো. শামীম হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পাশাপাশি এ ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রোববার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের টিভি রুমে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ও হলের আবাসিক ছাত্র গিয়াস উদ্দিনকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া হলের আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. আমিরুল ইসলাম এবং সদস্য মো. মেজবাউস সালেহীন ও আলী আহম্মদ সৈয়দ মোস্তফা জাহিদ। তাঁদের দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
সাময়িক বহিষ্কারের পর গিয়াস উদ্দিন হলে থাকতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ মো. শামীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সাময়িকভাবে বহিষ্কারের ফলে তিনি এখন আর হলের আবাসিক ছাত্র নন। আজ প্রাধ্যক্ষ পরিষদের এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনো হলে অনাবাসিক কেউ থাকতে পারবেন না। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর ওই শিক্ষার্থীর হলে থাকা না থাকা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের টিভি রুমে ধূমপান করতে নিষেধ করায় অনলাইন পোর্টাল বিডি মর্নিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন ইসলামকে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিনকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।