সাইকেল আরোহী ১০১ তরুণের পদ্মা সেতু অভিমুখে যাত্রা

শরীয়তপুর জেলা শহর থেকে সাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু অভিমুখে যান ১০১ তরুণছবি: প্রথম আলো

‘সোনালি সেতুর শ্যামল ভূমির শরীয়তপুরে আপনাকে স্বাগতম’ এমন স্লোগানসহ পদ্মা সেতুর ছবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড ও জাতীয় পতাকা নিয়ে ১০১ জন তরুণ সাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু অভিমুখে যাত্রা করেছেন। ‘তরুণদের পদ্মা সেতু বরণ উৎসব’ নামের এই সাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া তরুণেরা সবাই ‘শরীয়তপুর সাইক্লিস্ট’ নামের একটি সংগঠনের সদস্য। তাঁরা বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

শরীয়তপুর জেলা শহর থেকে আজ বুধবার দুপুর ১২টায় তাঁরা যাত্রা শুরু করেন। শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন। সংসদ সদস্যের ছেলে দানিব বিন ইকবাল এই শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা।

সাইকেল চালিয়ে ওই তরুণেরা পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা, সংযোগ সড়ক, রেল প্রকল্পসহ সেতুসংশ্লিষ্ট নানা স্থান ঘুরে দেখেন। পরে তাঁরা জাজিরার নাওডোবায় শেখ রাসেল সেনানিবাসের সামনের সড়ক ধরে শরীয়তপুর শহরে ফিরে আসেন। শরীয়তপুর সাইক্লিস্টের সমন্বয়ক আবদুল মোতালেব বলেন, ‘পদ্মা সেতু যেদিন উদ্বোধন হবে, সেদিন সাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে পদ্মা সেতু অভিমুখে আমাদের যাত্রা করার কথা ছিল। কিন্তু উদ্বোধন ঘিরে বিভিন্ন কর্মসূচি থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ওইদিন শোভাযাত্রা করার অনুমতি মেলেনি। তাই চার দিন আগেই আমরা সাইকেল শোভাযাত্রা করলাম।’

শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া তরুণেরা সবাই ‘শরীয়তপুর সাইক্লিস্ট’ নামের একটি সংগঠনের সদস্য।
সাইকেলে চড়ে ৬০ কিলোমিটার শোভাযাত্রা করে পদ্মা সেতু বরণ উৎসব করেন ১০১ তরুণ
ছবি: প্রথম আলো

আয়োজক দানিব বিন ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু নতুন প্রজন্মের কাছে সক্ষমতা ও উন্নত জীবনের প্রতীক। আমরা শরীয়তপুরের তরুণেরা দেশবাসীকে স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের সোনালি সেতুর শ্যামল ভূমিতে। আর প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সাহসী পদক্ষেপে প্রমত্ত পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণের জন্য।’

শরীয়তপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তুর্জ রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তরুণেরা পরিবেশবান্ধব বাহন সাইকেলে চড়ে ৬০ কিলোমিটার শোভাযাত্রা করে পদ্মা সেতু বরণ উৎসব করেছি।’

শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মা নদী আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের অনেক বড় দুঃখের কারণ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তায় সেই খরস্রোতা নদীর ওপর পদ্মা সেতু এখন এই অঞ্চলের মানুষের জন্য অনেক বড় সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সব বয়সী মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম সেতুর সুফল ভোগ করে উন্নত বাংলাদেশ গড়বে এমন প্রত্যাশা করছি।’