সাইনবোর্ড নামাতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে ২ যুবকের মৃত্যু

গাজীপুর জেলার মানচিত্র

গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি দোকানের সাইনবোর্ড নামাতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে প্রাণ গেছে দুই যুবকের। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরেক যুবক। আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে টঙ্গীর চেরাগ আলীর সুরতরঙ্গ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিদের একজন দোকানের মালিক মো. সায়েম (২৮)। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আবদুল কাশেমের ছেলে। পরিবার নিয়ে থাকতেন টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায়। অপরজন সবজি বিক্রেতা জুলহাস মিয়া (২৫)। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জিল্লু মিয়ার ছেলে। আর এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। তিনি ও জুলহাস সাইনবোর্ডটি নামাতে সায়েমকে সহযোগিতা করতে গিয়েছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, সায়েমের মোবাইল স্মার্ট নামে মুঠোফোনের একটি দোকান রয়েছে চেরাগ আলীর সুরতরঙ্গ রোডের মাথায়। তিনি আরেকটি নতুন দোকান নিয়েছেন। তাই আগের দোকানের (যে দোকানে ঘটনা) পুরোনো সাইনবোর্ডটি নামাতে আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জুলহাস ও শফিকুলকে নিয়ে যান। সাইনবোর্ডটি স্থাপন করা ছিল দোকানভবনের দোতলায়। পাশেই রয়েছে বিদ্যুতের তার।

সাইনবোর্ডটি নামাতে তিনজনই দোতলায় ওঠেন। সাইনবোর্ডটি অপসারণের সময় হঠাৎ করেই পেছনে থাকা বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে তাঁদের শরীর জড়িয়ে যায়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজনই দোতলা থেকে নিচে পড়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সায়েম ও জুলহাসকে মৃত ঘোষণা করেন। একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আহত শফিকুল।

টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাকসুদা আক্তার বলেন, বিকেলে জুলহাস নামে একজনকে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি আগে মারা গেছেন। ঘণ্টা খানেক পর মৃত অবস্থায় আনা হয় সায়েমকে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে তাঁরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মারা গেছেন। তারপরও লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।