সাতকানিয়ায় দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় দুই তরুণ কারাগারে

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রী ও ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুই তরুণকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

ওই দুজন হলেন উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের টুডিরবাড়ি এলাকার মেজবাহ উদ্দিন ওরফে কালু (২০) ও কাঞ্চনা ইউনিয়নের বখশিরখীল এলাকার মো. আলমগীর (১৯)।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের এক স্বজন বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার পরপরই গতকাল গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ও আলমগীর নামের অভিযুক্ত দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ওই দুই তরুণকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১২ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্রীর খালা ১৪ বছর বয়সী ওই স্কুলছাত্রী। গত সোমবার সকালে ওই মাদ্রাসাছাত্রী মা-বাবার সঙ্গে এওচিয়ার নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। ওই দিন বিকেলে খালা-ভাগনি মিলে স্থানীয় একটি দোকানে পান-সুপারি কিনতে যায়। দীর্ঘক্ষণ পরও তারা বাড়ি না ফেরায় আত্মীয়স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকেন। কোথাও তাদের সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানানো হয়। পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তারা এওচিয়ার আলীনগরের তলিপাহাড় এলাকা থেকে কান্না করতে করতে ফিরছিল। এ সময় স্বজনেরা তাদের দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বাড়িতে আসার পর ওই দুই ছাত্রী তাদের স্বজনদের জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পান-সুপারি কিনে দুজন বাড়ি ফিরছিল। এ সময় তারা লাম্বিনামার পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছালে মেজবাহ উদ্দিন ও আলমগীর নামের দুই তরুণ তাদের জোরপূর্বক সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তুলে আলীনগরের তলিপাহাড়ের নির্জন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে ওই দুই তরুণ তাদের একাধিকবার ধর্ষণ করেন।