সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি

নগরের নন্দনকান চত্বরে সম্প্রীতি পুনরুদ্ধার সমাবেশ। লাল–সবুজ পতাকা, বঙ্গবন্ধুর ছবি, বিভিন্ন অসাম্প্রদায়িক স্লোগানের ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে হাজারো মানুষ সেখানে জড়ো হন
ছবি: প্রথম আলো

আয়োজনটির নাম ‘সম্প্রীতি পুনরুদ্ধার মহাসমাবেশ ও পদযাত্রা’। সভা মঞ্চের বক্তৃতা ডায়াসের সামনে লেখা যুদ্ধকালীন সেই ঐতিহাসিক স্লোগান, ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার খ্রিষ্টান, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার মুসলমান-আমরা সবাই বাঙালি’। মঞ্চের সামনে হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে আছে চার ধর্মের প্রতীকী প্রতিনিধি চার কিশোর। লাল–সবুজ পতাকা, বঙ্গবন্ধুর ছবি, বিভিন্ন অসাম্প্রদায়িক স্লোগানের ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে হাজারো মানুষের মেলবন্ধন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এভাবেই সম্প্রীতি পুনরুদ্ধার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় নগরের নন্দনকান চত্বরে। আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) আয়োজিত এই সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা সংহতি জানান। বক্তব্য দেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপম সেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিএনপি মহানগর সভাপতি শাহাদাত হোসেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিত ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ইন্দু নন্দন দত্ত।

বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সব ধর্ম, সব জাতিসত্তার সমন্বয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনাসমৃদ্ধ সুখী বাংলাদেশ। এমন একটি দেশের জন্য তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে উল্টো চিত্র। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও আস্থা এখনো অটুট। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলসমূহের প্রতি আমাদের আস্থা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।

মঞ্চের সামনে হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে আছে চার ধর্মের প্রতীকী প্রতিনিধি চার কিশোর
ছবি: প্রথম আলো

সমাবেশ থেকে বক্তারা সব সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান।ÿক্ষতিগ্রস্ত মঠ-মন্দির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পুনর্নির্মাণ এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করার দাবি জানানো হয়।

ইসকন সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী ও সাংবাদিক বিপ্লব পার্থের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসকন আঞ্চলিক সম্পাদক শ্রীপাদ রাধা গোবিন্দ দাস, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষÿজিন বোধি ভিক্ষু, পাথরঘাটা ক্যাথলিক চার্চের ফাদার লেনার্ড, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা তপন কান্তি দাশ, বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদ্‌যাপন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুজিত কুমার বিশ্বাস, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সেন প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইসকনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীপাদ চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।

সমাবেশে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন যোগ দেন। পরে বিশাল এক মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।