সালিসে ডেকে এনে তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় কাউন্সিলরের কার্যালয়ে সালিসের নামে ওই তরুণকে ডেকে নিয়ে বেদম পিটুনি দেওয়া হয়। পরে রোববার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই তরুণ।

মারা যাওয়া ওই তরুণের নাম আবদুল মোমিন (২৪)। তিনি বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। মোমিন হোটেলে কাজ করতেন। খবর পেয়ে পুলিশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য একই হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলামকে সন্ধ্যায় আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

আবদুল মোমিনের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক শিশুকে (৯) যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সালিসের নামে আবদুল মোমিনকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নেন পৌর কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম। সেখানে মোমিনকে বেধড়ক পেটান তিনি। একপর্যায়ে পিটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোমিন। অবস্থা বেগতিক দেখে পৌর কাউন্সিলর পরে মোমিনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। স্বজনেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়িতে নিয়ে যান। রোববার সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে মারা যান মোমিন।

অন্যদিকে রাতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। সেখানে আবদুল মোমিনকে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর বলেন, ‘সালিসে মোমিনকে মারার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর পরিবারের লোকজনই শাসন করতে তাঁকে আমার কার্যালয়ে চড়থাপ্পর মেরেছেন। আমি তাঁকে কোনো প্রকার মারধর করিনি।’

এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে মোমিনের পরিবার থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে সালিসে ডেকে পেটানোর অভিযোগ পেয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৌর কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলামকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত হয়নি।