সিনহা হত্যা মামলায় সপ্তম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে ওসি প্রদীপকে (সাদা পোশাক) আদালত প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়
ছবি: প্রথম আলো

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফার প্রথম দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। শুরুতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার ৪ নম্বর সাক্ষী আবদুল হামিদ। সাক্ষ্য গ্রহণের দিক থেকে তিনি সপ্তম সাক্ষী।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার সময় সাক্ষী আবদুল হামিদ ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিলেন বলে জানা গেছে। তাঁর বাড়ি টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায়।

আবদুল হামিদের জবানবন্দি নিচ্ছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আদালতের পিপি ফরিদুল আলমসহ তিন আইনজীবী। জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আদালত পরিচালনা করছেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে সাক্ষী আবদুল হামিদকে জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ তৃতীয় দফার প্রথম দিনে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য চারজন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত রাখা হয়েছে। প্রথমজনের জবানবন্দি ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা শেষ হলে আরেকজন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হতে পারে। এর আগে দুই দফায় সাত দিনে ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন।

আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জেলা কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জন আসামিকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। এরপর আসামিদের আদালতে নেওয়া হয়। এর আগে মামলার তিনজন সাক্ষী আদালতে হাজির হন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে মেজর সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।