সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বন্যার পানি আবার বাড়ছে
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানি আবার বাড়ছে। আজ বুধবার সকালের দিকে উপজেলায় বন্যার পানি কম ছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি বাড়তে দেখা যায়।
উপজেলার কোথাও বন্যার পানি হাঁটুসমান, কোথাও কোমরসমান উঠতে দেখা গেছে। এতে বিভিন্ন সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। ভোগান্তিতে পড়ে স্থানীয় লোকজন।
আজ দুপুরের দিকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের ফেঞ্চুগঞ্জ অংশে বন্যার পানি বাড়তে দেখা যায়। উপজেলায় ৪ নম্বর কুশিয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ছিল প্রায় কোমরসমান পানি। এতে এলাকার সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ওমর ফারুক বলেন, গতকাল মঙ্গলবার যখন তিনি এই সড়ক হয়ে গাড়ি নিয়ে যান, তখন পায়ের গোড়ালিসমান পানি ছিল। ফলে গাড়ি নিয়ে যেতে তেমন সমস্যা হয়নি। কিন্তু আজ দুপুরের দিকে একই সড়ক দিয়ে তিনি গাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন না। সড়কে বন্যার পানি অনেক বেড়ে গেছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ সেতুর টোল প্লাজা সামনেও হাঁটুসমান পানি দেখা যায়। টোল প্লাজার নিরাপত্তাপ্রহরী শিপু আহমেদ বলেন, আজ সকাল আটটার দিকেও সেখানে পানি ছিল অনেক কম। কিন্তু দুপুর ১২টা নাগাদ এ এলাকায় বন্যার পানি অনেকটা বেড়েছে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পানি ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি বেড়েছে বলে জানান তিনি।
পশ্চিম বাজারসংলগ্ন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে প্রায় হাঁটুসমান পানি দেখা যায়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কমান্ড কার্যালয়েও পানি ঢুকেছে। সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে হাঁটুপানি দেখা যায়।
পশ্চিম বাজার হয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার যে সড়ক, সেখানেও হাঁটুপানি দেখা যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা। এ অবস্থায় কেউ পানি মাড়িয়েই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাচ্ছিলেন।
তাহমিনা আক্তার নামের এক নারী তাঁর অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তিনি বলেন, আজ সকালে তিনি যখন মেয়েকে নিয়ে আসেন, তখন এত পানি ছিল না। কিন্তু ফেরার পথে দেখেন, সড়কের পানি অনেক বেড়ে গেছে।