সিলেটে কলেজছাত্র আরিফুল হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার

আজ সকালে অভিযুক্ত শামসুদ্দোহা সাদীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে সিআইডি
ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের ছাত্র আরিফুল ইসলাম (১৮) হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শামসুদ্দোহা সাদীকে (২০) নিয়ে অভিযান চালিয়ে উপজেলার সিলাম হাজীপুর এলাকার একটি ডোবা থেকে ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।

সিলেট জেলা ও মহানগর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান। এর আগে গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়া থেকে শামসুদ্দোহা সাদী গ্রেপ্তার হন। আজ দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

২১ অক্টোবর কলেজের অভ্যন্তরে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আরিফুল ইসলাম ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছিলেন। এ ঘটনায় তাঁর চাচা শফিুকল ইসলাম বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা পাঁচ-সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সুজ্ঞান চাকমা জানান, মামলার মূল অভিযুক্ত শামসুদ্দোহা সাদী প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। নিহত আরিফুল ও শামসুদ্দোহা সাদী ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত থাকলেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি রাজনৈতিক ছিল না বলে জানিয়েছেন শামসুদ্দোহা সাদী। অভিযুক্ত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ‘সিনিয়র-জুনিয়র’ বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে এবং এতেই আরিফুলের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় আরিফুল হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিআইডি। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে। এদিকে আরিফুল হত্যার ঘটনার পর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত কলেজে পাঠদান বন্ধ ছিল। ঘটনার মূল অভিযুক্ত শামসুদ্দোহা গ্রেপ্তারের পর গতকাল কলেজে আবার পাঠদান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. শামছুল ইসলাম।