সিলেটে ডুবছে ফসলের খেত, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ

পানি থেকে ফসল বাঁচাতে ধান কেটে নৌকায় করে বাড়ি ফিরছেন এক নারী। গতকাল সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উজেলার লাচুখাল এলাকায়ছবি: আনিস মাহমুদ

সপ্তাহজুড়ে চলা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিলেটে নতুন করে আরও শতাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবছে ফসলের খেত, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। সিলেট নগরসহ জেলার আটটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পানিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সিলেট জেলার ফসলের খেতও ডুবছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৩৪ হেক্টর বোরো জমি, ১ হাজার ১২৭ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা এবং ২৪৩ হেক্টর সবজির জমি তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে আরও এলাকা প্লাবিত হয়ে ফসলের খেত তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সিলেট জেলায় ইতিমধ্যে বোরো জমির ৯৫ শতাংশ ফসল কাটা হয়েছে। ধান কাটা যা বাকি ছিল, এর মধ্য থেকে কিছু জমি পানিতে ডুবে গেছে। তবে দ্রুত পানি কমে গেলে এসব জমির ধান কাটা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে মৎস্য চাষিদের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একজন মৎস্য চাষি জানান, পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি উপচে তাঁদের এলাকা প্লাবিত হওয়ায় তাঁর দুটি পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে।

নদ-নদী ও হাওরের পানি উপচে বিভিন্ন গ্রাম। এতে গবাদীপশু নিয়ে মানুষ বিপাকে পড়েছে
ছবি: আনিস মাহমুদ

সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় কী পরিমাণ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, সেসব তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চলছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নির্ধারণ করা হবে। তবে জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।