সিলেটে পাহাড়ি ঢলে ৩ উপজেলায় ডুবেছে ফসলি জমি ও বাড়িঘর

পাহাড়ি ঢলে সিলেটের তিন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং চা-বাগান এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরের পর থেকে পানির তোড়ে তিনটি উপজেলার কয়েক শ গ্রামের ফসলি জমি, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢলে উপজেলাগুলোর নদ-নদী উপচে হাওরে পানি ঢুকেছে। কোথাও কোথাও নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও অনেক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পূর্ব, তেলিখাল, ইছাকলস ও দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আধা পাকা ও কাঁচা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত অন্তত ২০টি গ্রামের পার্শ্ববর্তী হাওরের বোরো ফসলও তলিয়েছে পানিতে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তুমপুর, পূর্ব জাফলং, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং, পূর্ব আলীরগাঁও, পশ্চিম আলীরগাঁও, রাধানগর, লন্ডনি বাজার, বাংলাবাজার ও নতুন বাজার এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও কিছু বাড়িঘর। আসামপাড়া এলাকার নদীর তীর সংরক্ষণের বাঁধ ভেঙে বোরো ধান পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, গোয়াইনঘাটে ৫০০ থেকে ৬০০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। আবহাওয়া একটু ভালো হলেই এ পানি নেমে যাবে বলে আশা করছেন তাঁরা। তবে পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।

দুপুরের পর থেকে ঢলের পানি আসতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও লুসিকান্ত হাজং। তিনি বলেন, এখনো পানি আসা অব্যাহত আছে। এ উপজেলার ১৯০ থেকে ২০০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ওই সব এলাকা পরিদর্শন করেছেন তিনি। আশা করছেন, দু–এক দিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে।

জৈন্তাপুরের ইউএনও আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় কী পরিমাণ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে, তা এখনো পরিমাপ করতে পারেননি তাঁরা। তবে এখনো পানি বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে মাঠ প্রশাসন কাজ করছে।