সিলেটে ভাড়া বাসা থেকে ছুরিকাঘাতে নিহত চীনের নাগরিকের লাশ উদ্ধার

নিহত চীনা নাগরিক ওয়েন্টাও ওয়েই
পাসপোর্টে থেকে সংগৃহীত

সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ছুরিকাঘাতে নিহত এক চীনা নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাসপোর্টে তাঁর নাম ওয়েন্টাও ওয়েই (৪৮)। তিনি কুমারগাঁও বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে কর্মরত। ওই বাসা থেকে সানক্সি (৪৮) নামের আরেকজন চীনা নাগরিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে কোতোয়ালি থানার পাঠানটুলার বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির বুকের মাঝামাঝি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়িত অন্য একজন চীনা নাগরিকের শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ফ্ল্যাট থেকে দুটি ছোরা উদ্ধার করা হয়।

পাঠানটুলার ওই বাসায় একসঙ্গে ১২ জন চীনা নাগরিক বসবাস করতেন। তাঁরা সবাই কুমারগাঁওয়ের বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে কাজ করতেন।

পুলিশ জানায়, পাঠানটুলার ওই বাসায় একসঙ্গে ১২ জন চীনা নাগরিক বসবাস করতেন। তাঁরা সবাই কুমারগাঁওয়ের বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে কাজ করতেন। আজ সকালের দিকে অধিকাংশ কাজে চলে যান। এরপর পঞ্চম তলার ৭ নম্বর ফ্ল্যাটে মারামারির শব্দ শুনতে পান অন্যরা। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ থাকায় আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা কিছু বলতে পারেননি। খবর পেয়ে পুলিশ কক্ষে ঢুকে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি ফরহাদ আরও বলেন, ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা চীনা নাগরিকেরা তাঁদের নিজ দেশের ভাষায় কথা বলেন। একজন ইংরেজিতে ঘটনার কিছু বর্ণনা দিয়েছেন। তাঁর ভাষ্য থেকে বোঝা গেছে, সকালে নাশতার টেবিলে হাত ধোয়া নিয়ে নিহত চীনা নাগরিক ওয়েন্টাও ওয়েইয়ের সঙ্গে সানক্সির বচসা হয়। এ থেকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন আছে।