সিলেট থেকে কলকাতায় নদীপথে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ শনিবার দুপুরে সিলেটের নগর ভবন প্রাঙ্গণে
ছবি: প্রথম আলো

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বিশাল দিগন্ত উন্মোচন করতে সিলেটের নদীপথ ব্যবহার করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সিলেট থেকে কলকাতায় নদীপথে যাওয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আজ শনিবার দুপুরে সিলেটের নগর ভবন প্রাঙ্গণে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের শীতার্তদের জন্য ১১ হাজার ৭০টি কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।

সিলেটে অনেক নদী-নালা থাকার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সিলেট থেকে কলকাতায় নদীপথে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে চাচ্ছি। নদীপথ ব্যবহার করলে পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের বিশাল দিগন্ত উন্মোচিত হবে। সড়কপথ, রেলপথ এবং আকাশপথের উন্নয়নের পাশাপাশি বিনিয়োগবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারলে সিলেটকে দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী উন্নয়নের স্বার্থে সিলেটের সব নায্য দাবি আদায়ে সর্বাত্মক সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দল–মতের ঊর্ধ্বে উঠে সিলেটের উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। কোনো দাবি থাকলে সিলেটে তাঁর নিজ কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানানোরও আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে ২৭টি ওয়ার্ডের উপকারভোগীদের হাতে কম্বল তুলে দেন।

এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, র‌্যাব দুর্নীতি করে না, যুক্তরাষ্ট্রও অনেক সময় ভুল করে, তারা একদিন তা বুঝতে পারবে। র‌্যাবের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ দুঃখজনক। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে শিগগিরই আলোচনা শুরু করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, দেশে গত ১০ বছরে ৬০০ জনের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন, কিন্তু তাদের দেশে প্রতিবছর ১ লাখের বেশি মানুষ নিখোঁজ এবং হত্যার ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অথচ নিজেদের দেশের ঘটনাগুলোর ব্যাপারে তারা উদাসীন। দেশের নেতিবাচক কিছু মানুষ ও সাংবাদিকদের জন্য এমন ঘটছে বলে অভিযোগ মন্ত্রীর।