সীতাকুণ্ডে বিআইটিআইডি হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট চালু

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতাল
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পৃথক ডেঙ্গু ইউনিট চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার পর্যন্ত হাসপাতালটিতে দুজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নেওয়ার পর ছয় শয্যার পৃথক ইউনিট চালু করা হয়।

হাসপাতালটিতে পাঁচ শয্যার আইসিইউসহ মোট ৫০ শয্যার পৃথক করোনা ইউনিট রয়েছে।

সর্বশেষ গতকাল দেলোয়ার হোসেন (২৬) নামের এক ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানার কর্নেলহাট এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন গত বুধবার ভর্তি হয়েছিলেন। এর আগে ৭ আগস্ট হাসপাতালটিতে এ বছরের প্রথম একজন ডেঙ্গু রোগী (নারী) ভর্তি হন। পাঁচ দিন চিকিৎসার পর তিনিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।

হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রশীদ বলেন, দেলোয়ারের অবস্থা ছিল প্রাথমিক ধাপে (এ স্টেজে)। তাই তিনি দ্রুত সেরে উঠেছেন। এখন কারও জ্বরের সঙ্গে শরীরের জয়েন্টে ব্যথা কিংবা র‍্যাশ দেখা দিলে তাঁকে দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। প্রাথমিক ধাপে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে রোগী দ্রুত সেরে ওঠে। কিন্তু বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে যদি রোগের দ্বিতীয় ধাপে চলে যায়, তাহলে রোগী সেরে উঠতে সময় নেয়। এ ছাড়া রোগীর অবস্থা শকে চলে গেলে বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়ে।

মামুনুর রশীদ আরও বলেন, অনেকে জ্বর হলে এখন করোনা মনে করে। দুই রোগের জ্বরেও পার্থক্য রয়েছে। ডেঙ্গুর জ্বর করোনার তুলনায় উচ্চ মাত্রায় থাকে। সন্দেহ হলে দুটি পরীক্ষাই করাতে হবে। গত দুবছর চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানার বিশ্বকলোনি, শাপলা আবাসিক ও সীতাকুণ্ডের কালুশাহ এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর প্রকোপ বেশি ছিল। সিটি করপোরেশন নালাসহ বাড়ির আঙিনায় ক্রাশ প্রোগ্রাম করার পরও ডেঙ্গুর প্রভাব কমছিল না। পরে অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখেন, সেখানে থাকা বড় বড় গাছের বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে জমে থাকা পানি ডেঙ্গুর প্রকোপ বন্ধ না হওয়ার কারণ। এবার সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

হাসপাতালটির উপপরিচালক মোহাম্মদ বখতিয়ার আলম বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নারী ও পুরুষের জন্য তিনটি করে ছয় শয্যার ডেঙ্গু ইউনিট শুরু করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই ইউনিটে শয্যা বাড়ানো হবে।