সীমান্ত পানিতে ডুবে মারা যাননি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে

রাজশাহী জেলার মানচিত্র

রাজশাহীর চারঘাটে সীমান্ত ইসলাম (১৯) নদীতে ডুবে মারা যাননি। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। গত ১৮ মে দুপুরে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার ২৭ দিন পর তাঁর লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সীমান্ত ইসলামের বাবার নাম মাসুদ রানা। বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট পৌর এলাকার থানাপাড়ায়। সীমান্ত এবার সরদহ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাতে সীমান্ত ইসলামের বাবা চারঘাট মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ছয়–সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ বুধবার সকালে ওই মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সজল ইসলাম, সাব্বির রহমান ও ফরহাদ হোসেন। তাঁদের বাড়ি চারঘাট পৌরসভার থানাপাড়ায়।
নৌ পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মে দুপুরে সীমান্ত তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশের পদ্মা নদীতে গোসল করতে যান। গোসল শেষে তাঁর বন্ধুরা বাড়িতে ফিরে এলেও সীমান্তকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

পরদিন ১৯ মে সকালে জেলেদের জালে সীমান্তের লাশ আটকা পড়ে। নৌ পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সীমান্তের বন্ধুদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত ১৯ মে নৌ পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তাঁর লাশের ময়নাতদন্ত হয়। সেখান থেকে গত মঙ্গলবার নৌ পুলিশ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পায়। ময়নাতদন্তে সীমান্ত ইসলামের মাথায় আঘাতের বিষয়টি উঠে আসে।

চারঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে সীমান্তের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সীমান্তের বাবা তাঁর বন্ধুদের নামে একটি হত্যা মামলা করেছেন। তাৎক্ষণিক চারঘাট মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তে সীমান্তকে হত্যার কারণ জানা যাবে। আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে হাজির করা হবে।