সুনামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে হেনস্তার মামলায় আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ–আন্তর্জাতিক বিষয়ব সম্পাদক আফজাল খান
সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আফজাল খানকে (২৪) হেনস্তা ও আটক করে রাখার ঘটনায় করা মামলায় আরও এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওই ব্যক্তির নাম আবুল কাশেম (৩৫)। তাঁর বাড়ি উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বাদে হরিপুর গ্রামে। সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের সামনের সড়ক থেকে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধরমপাশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম রাত আটটার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার ছবি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা আফজাল খানকে হেনস্তা ও আটক করে রাখার ঘটনায় করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় এজাহারভুক্ত ২৯ জন আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ওই আসামিকে কাল বুধবার সকালে আদালতে পাঠানো হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ধরমপাশা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আফজাল খান গত ২৯ মার্চ দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার ছবি দিয়ে একটি পোস্ট দেন। স্থানীয় কয়েকজন এটির স্ক্রিনশট নিয়ে রাখেন। গত ৬ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে আফজাল নিজ ইউনিয়নের জয়শ্রী বাজারে আসেন। এ সময় একই ইউনিয়নের বাদে হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (সদ্য বহিষ্কৃত) আবুল হাশেম আলমের ছেলে আল মুজাহিদ (২৫) হেফাজতের বিরুদ্ধে কেন পোস্ট দিলেন জানতে চেয়ে ছাত্রলীগের ওই নেতাকে টানাহেঁচড়া এবং ৩০-৪০ জন লোক নিয়ে তাঁকে জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আটক করে রাখেন।

এ ঘটনায় আল মুজাহিদ, তাঁর বাবাসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে ৭ এপ্রিল রাতে ছাত্রলীগ নেতা আফজাল খান বাদী হয়ে ধরমপাশা থানায় একটি মামলা করেন।