সুনামগঞ্জে সংঘর্ষ: আ.লীগ নেতাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সুনামগঞ্জ জেলার মানচিত্র

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উদির হাওর জলমহালের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনার পাঁচ দিন পর মামলা হয়েছে। দিরাই থানায় করা ওই মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়সহ ৭৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে দিরাই থানায় মামলাটি করেন নিহত রুহেদ মিয়ার ভাই সুহেদ মিয়া। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের উদির হাওর জলমহালের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওই গ্রামের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী কাজল নূরের পক্ষের রুহেদ মিয়া (৪০) নিহত হন। আহত হন আরও ২০ জন।

অভিযোগ আছে, স্থানীয় একটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামের জলমহালটি ইজারা নিলেও এর পেছনে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়। তিনিই এটি নিয়ন্ত্রণ করেন। ভাটিপাড়া গ্রামে তাঁর পক্ষের নেতৃত্ব দেন শাহ আলম। সোমবারের সংঘর্ষে নিহত রুহেদ মিয়া কাজল নূরের চাচাতো ভাই।

২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারিতে উপজেলার জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় পরে প্রদীপ রায়, দিরাই পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মোশাররফ মিয়া এবং দিরাই উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদারসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় বর্তমানে প্রদীপ রায় জামিনে আছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ রায় বলেন, তিনি উদির হাওর জলমহালের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নন। যেদিন ঘটনা ঘটে, সেদিন একটি মামলার হাজিরা দিতে তিনি সুনামগঞ্জে আদালতে ছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এখন তাঁকে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়ানোর চেষ্টা করছে।

প্রদীপ রায় আরও বলেন, ২০১৭ সালে জারলিয়া জলমহাল ঘটনার সময়ও তিনি জাতীয় সংসদ ভবনে ছিলেন। তখনো তাঁকে ষড়যন্ত্র করে আসামি করা হয়।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান উদির হাওর জলমহালে সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এখনো ওই মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।